নিজস্ব প্রতিবেদক
বায়ুদূষণ রোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ : স্পিকার

বায়ুদূষণ রোধে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ কোনো দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। তাই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করার বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে স্বনীতি গ্লোবাল আয়োজিত ভারতীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার আরো বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বায়ুদূষণ রোধে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে উভয় পক্ষের অর্জিত জ্ঞান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, বায়ুদূষণ মৌলিক মানবিক ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।সংলাপে ‘পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর ক্লিন এয়ার’ শীর্ষক একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ভারতের সংসদ সদস্য প্রদ্যুৎ বরদলৈ ও ড. ফৌজিয়া খান। এ সময় ভারতের প্রতিনিধিদলের প্রধান প্রদ্যুৎ বরদলৈ বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সংসদীয় উদ্যোগ ও সরকারের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্য ড. ফৌজিয়া খান বলেন, বায়ুদূষণ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে নিয়ে এবং তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জনস্বাস্থ্য মৌলিক বিষয়, এ জন্য বাংলাদেশ এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বায়ুদূষণ রোধে ককাস গঠনের প্রতি গুরুতবারোপ করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, পীর ফজলুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, রাজি মোহাম্মদ ফখরুল, তামান্না নুসরাত বুবলী ও উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
"