
ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে মঙ্গলবার ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (ডিসিও)-এর আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করল বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ডিসিও সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার সনদে স্বাক্ষর করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনে প্রায় ১৫টি দেশের ৮০০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা মার্কেট রয়েছে। বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিসিওর সদস্য হলো। তিনি বলেন, আমরা ডিসিওর সদস্য হতে পেরে আমাদের চারটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রথমত; বাংলাদেশের ডিজিটাল অন্টারপ্রেনিয়র স্টার্টআপদের ব্যবসা করার সুযোগ হবে। দ্বিতীয়ত; বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ তৈরি হবে। তৃতীয়ত; ১৫টি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সাইবার সিকিউরিটিতে আরো বেশি শক্তিশালী জায়গায় যেতে পারবে। চতুর্থত; স্টার্টআপ পাসপোর্ট নিয়ে কাজ হচ্ছে। অর্থাৎ একটি দেশের স্টার্টআপরা ১৫টি দেশে কাজ করতে পারবে।
তিনি বলেন, এ চারটি এরিয়াতেই মূলত ডিসিও সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ গ্রহণ করেছি এবং সেই সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের জায়গায় বাংলাদেশ এখন অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য পরিণত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পলক অরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের কাছে একটি অনুকরণীয় সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিসিও মেম্বারশিপের ফলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্পটি পেয়েছি। সেখানে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তোলা হবে।
২০৪১ সালের সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ডিসিওর মেম্বার হওয়ার ফলে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জনে আরো বেশি এগিয়ে যেতে পারবো।
এসময় ডিজিটাল কো-অপারেশন অর্গানাইজেনের সেক্রেটারি জেনারেল মিসেস দীমা আল ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"