জাককানইবি প্রতিনিধি

  ২৭ মে, ২০২৩

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাত্রাপালা ‘অনুরাধা’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে যাত্রাপালা। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় কবি নজরুলের লেখা নাটক বিদ্যাপতির ছায়া অবলম্বনে নির্মিত যাত্রাপালা ‘অনুরাধা’ গাহি সাম্যের গান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।

নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিকের সম্পাদনা ও নির্দেশনায় অভিনেতা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল তিনটির প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ ১৫ জন শিক্ষক অভিনয় করেন যাত্রাপালায়। ক্লাসরুমের বাইরে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষককে ভিন্ন রূপে দেখার সুযোগ পান। নজরুল জন্মজয়ন্তীর অন্য অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যে যাত্রাপালার মতো ভিন্ন রকম আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বাড়তি উচ্ছ্বাস। শিক্ষার্থী শ্যামল হাসান জানান, শিক্ষকম-লীকে এভাবে মঞ্চে দেখতে পাব, এটা আমাদের জন্যে অন্য রকম একটা অনুভূতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ব্যতিক্রম আয়োজন নিয়মিত হওয়া দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের তত্ত্বাবধানে যাত্রাপালাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তন্বী সাহা। এছাড়া অন্য চরিত্রে ছিলেন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ড. সোহেল রানা, ড. জাহিদুল কবীর, সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন অবন্ত, মাসুম হাওলাদার, রায়াহানা আক্তার, কল্যানাংশু নাহা, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হক, আসিফ ইকবাল, তানিয়া তন্বী, মাশকুরা রহমান, রাগীব রহমান। এছাড়া বিদ্যাপতি চরিত্রে অভিনয় করেন মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারপ্রাপ্ত জনপ্রিয় অভিনেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মনোজ প্রামাণিক।

যাত্রাপালাটির পোশাক পরিকল্পনা করেন মাশকুরা রহমান, সংগীত পরিকল্পনা করেন ড. জাহিদুল কবীর এবং তন্বী সাহা, আলোক পরিকল্পনায় মেহেদী তানজীর এবং মঞ্চ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ড. তপন কুমার সরকার। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা এবং সংগীত বিভাগ। নজরুলের নাটক বিদ্যাপতিতে পঞ্চদশ শতকের মৈথিলি কবি বিদ্যাপতির সঙ্গে মিথিলা রাজ্যের রাজা শিবসিংহের বন্ধুত্ব এবং প্রধানত একটি ত্রিমাত্রিক প্রেমময় বাস্তবতা ঠুটে উঠেছে। যার অন্তীমে ধৈর্য, ত্যাগ ও সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে সৃষ্টির প্রেমের যে মাহাত্ম্য, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

নাটকটির নির্দেশক নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক জানান, ‘বর্তমানে সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চার যে টানাপোড়েন চলছে সেরকম একটি সময়ে এ উদ্যোগ নেওয়ার পেছনে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক কারণ রয়েছে। বলা যেতে পারে প্রজন্মের সঙ্গে শেকড়ের মেলবন্ধন ঘটানোর দায়মুক্তির ক্ষেত্রে ছোট্ট একটি প্রয়াস এটি। কৃতজ্ঞতা জানাই বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্যারকে, তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কাজটি করতে পেরেছি।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close