জেন্ডার সমতার পাঠ আদর্শ স্কুল থেকেই
বিদ্যালয়ে সহায়ক পরিবেশ এবং সমান সুযোগ ও সহায়তা পেলে জেন্ডার নির্বিশেষে প্রতিটি শিশু বিকশিত হতে পারে নিজ নিজ সম্ভাবনায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন তৈরিতে, জীবনের লক্ষ্য বেছে নিতে এবং সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে প্রতিটি বিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিদ্যালয়। ঢাকায় আয়োজিত মডেল স্কুল ফেয়ার কর্মসূচিতে এ কথাই বলেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির তত্ত্বাবধানে সুরভি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘চাইল্ড ব্রাইড টু বুকওয়ার্ম’ প্রকল্প ও মানিকনগর মডেল হাই স্কুলের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর মানিকনগর মডেল হাই স্কুলে ‘মডেল স্কুল ফেয়ার’ নামে একটি ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেলার উদ্বোধন করেন প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, পরিচালক (মাধ্যমিক) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকসহ প্রায় ১৫শ শিক্ষার্থী এই মেলায় অংশ নেয়।
মেলায় বিভিন্ন স্টল সাজিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত অতিথিদের সামনে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য তুলে ধরে। কীভাবে বিদ্যালয় তাদের এই ভবিষ্যতের স্বপ্ন পূরণে শিক্ষকসহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে তা জানায়। বিদ্যালয় থেকে তারা কীভাবে জেন্ডার সমতা সম্পর্কে জানতে পারছে, তা তুলে ধরে।
উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের একান্ত চেষ্টায় চলতি বছর ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে মাধ্যমিক স্তরে দুটি শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা মেয়েশিশুসহ সব শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালসহ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন প্রয়াস অব্যাহত রেখেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্কুলে লেখাপড়ার পরিবেশ তৈরির নেতৃত্ব দেন সেই স্কুলের প্রধান। তাদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন শিক্ষক এবং অভিভাবকরা। এটা কোনো একক প্রচেষ্টা নয়। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আদর্শ স্কুলে যোগ্য শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরির সুযোগ পাবে।’
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর লিড-এসআরএইচআর ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির তত্ত্বাবধানে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সহায়তায় অল্প সংখ্যক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জেন্ডার ইক্যুইটি মুভমেন্ট কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে এই কার্যক্রমটি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন, যাতে করে সমাজে জেন্ডার সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা নিশ্চিত হয়।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
"