কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

  ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

কিশোরগঞ্জে নিম্নমানের খোয়ায় সড়ক সংস্কার

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে একেবারে নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে পুনরায় চলছে সেই সড়ক সংস্কারের কাজ। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্যরা নীরব থাকায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যেনতেনভাবে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের যোগসাজশে দায়সারাভাবে সংস্কার কাজ করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুরাকুটি ময়দানের পার হতে বাহাগিলি ইউপি পর্যন্ত চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংস্কার কাজে ৩ নম্বর ইটের খোয়া ও পুরাতন ইটের এজিং দিয়েছেন। ট্রাকে করে চুলার মাটির মতো ইটের খোয়া ও ইটের গুঁড়া এনে সড়কে ছিটিয়ে রোলার করছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর প্রতিদিনের সংবাদে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ইউএনও উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কিন্তু তদন্ত কমিটি নীরব থাকায় আবারো নিম্নমানের খোয়া দিয়ে ওই সড়ক সংস্কারের কাজ করতেছেন ঠিকাদার।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একেবারে পচা ইটের খোয়া দিয়ে ঠিকাদারের লোকজন হামার সড়কটার কাজ করতেছে। এমন নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করতে তাদের নিষেধ করেছিলাম কিন্তু আমার বাধা মানেনি। নিউজ করেন, যাতে ভালো কাজ হয়। এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ওই সড়কের ২ হাজার ৩১৫ মিটার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। ৭৭ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে কাজটি পায় ঠাকুরগাঁওয়ের ঠিকাদার মোখছেদুল ইসলাম। তিনি নিম্নমানের খোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, একজন এমন খোয়া দিয়েছিল সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে। সড়কে খোয়া বিছানোর সময় ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট আবদুল হাদি সংস্কার কাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় আজকে দুই স্তূপের এমন খোয়া রাস্তার কাজে দেওয়া হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান নিম্নমানের কাজের অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও অফিস থেকে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগে ওই সড়কের কাজ দেখার জন্য গিয়েছিলাম, রিসেন্ট যায়নি। ওটা দেখে ব্যবস্থা নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close