নিজস্ব প্রতিবেদক
‘সিগারেট কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ধূমপান সিগারেট পানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সিগারেট এখন ই-সিগারেট হয়েছে। তরুণ প্রজন্ম ই-সিগারেটের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন আইনে সব ধরনের সিগারেট কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশান অব দ্য রুর্যাল পিওর (ডরফ)।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া পাস হওয়া জরুরি। আর সেই আইনে এটিকে নিষিদ্ধ করা হলে জনগণের মধ্যে (বিশেষ করে কিশোর, তরুণ, নারী ও স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে) এসব পণ্যের সহজলভ্যতা ও ব্যবহার হ্রাস পাবে।
এ সময় মন্ত্রী নিজে কখনো ধূমপান করেননি মন্তব্য করে বলেন, আমার বন্ধুরা আমাকে অনেক বলেছে কিন্তু আমি ধূমপান করিনি। আমার বাবা একবার আমাকে ওয়াদা করিয়েছিলেন, আমি সেই ওয়াদা রক্ষা করেছি। সে কারণে আমি কখনোই ধূমপান করিনি। আমি জানি একবার ধূমপান করলে সেটায় আসক্তি ধরে যাবে। তখন চাইলেও সহজে এ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব না। আসক্তি খুব খারাপ জিনিস। আসক্তির একটা বিবর্তন হয়েছে, হয়েছে ধূমপানেরও। তরুণ প্রজন্ম ই-সিগারেটের প্রতি ঝুঁকছে। অনলাইনে অর্ডার করলে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেটা অনেক বেড়ে গেছে। এতে তরুণ প্রজন্ম দ্রুত আসক্তিতে পড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ছেলেরা যেমন ধূমপানে আসক্ত। তেমনি মেয়েদের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমাদের যেকোনো আসক্তি দূর করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি, ফেসবুকে আসক্তি, এসব আসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। যেমন মেয়েদের আসক্তি হিন্দি সিরিয়ালে বেশি। ছেলেদের মধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপিং অনেক বেড়ে গেছে। এটা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
খসড়া সংশোধনীগুলো মূল সংশোধনীর ধারায় যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সংশোধনের যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
"