রাজশাহী ব্যুরো

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ছেলেশিশু বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে

রাজশাহী সিটির ৩টি ওয়ার্ডের শিশুর পুষ্টি মূল্যায়নের ফল প্রকাশ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) তত্ত্বাবধানে ইউএস সিডিসির অর্থায়নে ও সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় মহানগরীর নির্বাচিত তিনটি ওয়ার্ডের ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়নবিষয়ক কার্যক্রমের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনের সরিৎ দত্তগুপ্ত সভাকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নগরীর ৭, ১৫ ও ২৭নং ওয়ার্ডের স্লাম এরিয়ায় মোট ৩১৮৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৯% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এতে দেখা গেছে, মেয়েদের চেয়ে ছেলে শিশুররা বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম। সভায় শিশুদের পুষ্টি মূল্যায়নবিষয়ক কার্যক্রমের ফল উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জনস্বাস্থ্য রোগতত্ত্ববিদ ডা. তামান্না বাসার। এ সময় ডা. তামান্না বাসার জানান, দেশের সব সিটি করপোরেশনে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৭, ১৫ ও ২৭নং ওয়ার্ডে ‘অপুষ্টি যাচাইকরণ ও পুষ্টি প্যাক বিতরণ কর্মসূচি’বিষয়ক ৫২ দিনব্যাপী অপুষ্টি যাচাইকরণ এবং পুষ্টি প্যাক বিতরণ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ এপ্রিল থেকে ৭ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত ৩টি ওয়ার্ডে অপুষ্টি যাচাইকরণ, পুষ্টি প্যাক বিতরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোস্টার, লিফলেট বিলি করা হয়। ডা. তামান্না বাসার আরো জানান, ক্যাম্পেইন থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৭, ১৫ ও ২৭নং ওয়ার্ডের স্লাম এরিয়ায় মোট ৩১৮৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে মোট জনসংখ্যার ৯% শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এতে ছেলে শিশু মেয়ে শিশুর চেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে। কর্মসূচির আওতায় নগরীর ৩১৮৪ জন শিশুর সঠিক ওজন ও উচ্চতা যাচাই, অপুষ্টি কী, পরিপূরক খাবার এবং কোনো বয়সে কী পরিমাণ খাবার খেতে হবে সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুদের মাঝে ২৪ হাজার ৭৫০ পুষ্টি প্যাক সরবরাহ করা হয়। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের বয়সের সঙ্গে বেড়ে ওঠা স্ক্রিনিং এবং পুষ্টি কার্ড বিতরণ করা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close