নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

খাদ্যে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, পণ্যের দাম নির্ধারণ নয়, বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। খোলাবাজার অর্থনীতিতে পণ্যের দাম একদম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা একটি ইন্ডিকেটর দিতে পারি যে, দাম এত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে কঠোরভাবে বাজার মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিল মালিকরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বিরাট মুনাফা করার চেষ্টা করে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে, লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহের টাউন হলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধানের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় লোকজনকে দেখানোর জন্য আন্দোলনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিএনপি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা প্রতিদিন উসকানিমূলক কথাবার্তা, স্লোগান ও কর্মসূচি দিচ্ছে। রাস্তাঘাট অবরোধ-আটকে মানুষের চলাফেরায় ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। তারা অহেতুক পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। প্রতিদিন আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়ার মতো কোনো কারণ নেই। সরকারের দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেটিই সরকার করছে।

বিএনপি আন্দোলনে কোনো দিন সফল হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি একটানা তিন মাস আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও, গাড়ি ভাঙচুর, মানুষকে পুড়িয়ে মারাসহ তাণ্ডব চালিয়েছিল। তখনো তারা সফল হয়নি। খালেদা জিয়া লজ্জাবনত মাথায়, মুখে কালিমা মেখে ঘরে ফিরে গিয়েছিল। তিন মাসেও সফল হয়নি। আর এখন উসকানিমূলক ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাণ্ডব সৃষ্টি করে সফল হতে পারবে না। তাদের জনগণ প্রতিহত করবে।

মন্ত্রী বলেন, এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে সব সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করে। পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গত বছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে। সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট বেড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে বিভিন্ন সংস্থা যে পূর্ভাবাস ও সতর্কবাণী দিচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পথে রয়েছে। গত ১৩ বছরে খাদ্যের কোনো সংকট হয়নি। এমনকি করোনা ও যুদ্ধের অভিঘাতের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে দেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।

এতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close