ক্রীড়া ডেস্ক
মেসি-রোনালদোকে ছাপিয়ে গেল হালান্ড

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দলের ছন্দপতনের দিনও উজ্জ্বল আর্লিং ব্রুট হালান্ড। এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিপক্ষে দলের একমাত্র গোলটি করেন সিটি স্ট্রাইকার। আর তাতেই ফুটবলের দুই মহাতারকা মেসি-রোনালদোকে ছাপিয়ে গেলেন নরওয়ের এই গোলমেশিন।
গানারদের ঘরের মাঠে ৫৫ মিনিটে সিটিজেনদের একমাত্র গোলটি হেড থেকে জালে জড়ান হালান্ড। এরইসঙ্গে ক্লাব ফুটবলে ২৫০তম গোলের মাইলফক স্পর্শ করেন তিনি। দ্রুততম ম্যাচের হিসাবে যেখানে সিটি স্ট্রাইকারের থেকে এগিয়ে নেই আর কেউ।
এতদিন ৩২৭ ম্যাচে এ মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ডটি নিজের করে রাখেন আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার কিংবদন্তি ফুটবলার লিওনেল মেসি। আড়াইশ গোল করতে হালান্ডের লাগল ৩১৩ ম্যাচ। তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এখন এই তালিকায় মেসির পরে রয়েছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড একই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৩৩২ ম্যাচে। এই রেকর্ড গড়তে কেবল এই তিন ফুটবলারই ম্যাচসংখ্যা তিনশর ঘরে রাখতে পেরেছেন। কেননা তালিকার চতুর্থ ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইনের খেলতে হয় ৪৩০ ম্যাচ। পাঁচে থাকা পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলেন ৪৫১ ম্যাচ। রোনালদোর সঙ্গে আছেন বার্সেলোনার পোলিশ তারকা রবার্ট লেভানদোভস্কিও। তিনিও আল নাসর ফরোয়ার্ডের সমপরিমাণ ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড গড়েন। পাঁচশ ম্যাচের মধ্যে এই তালিকায় আছেন কেবল আরেকজন, ম্যান সিটির সাবেক আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও আগুয়েরো। তিনি খেলেন ৪৮১ ম্যাচ। এরপর রয়েছেন করিম বেনজেমা (৫২৭), মোহাম্মদ সালাহ (৫৩৫) ও ওয়েন রুনি (৫৬১)।
২০২২-এ ইংলিশ জায়ান্টদের খাতায় নাম লেখান হালান্ড। এরপর সিটিজেনদের হয়ে ১৩১ ম্যাচে করেন ১১৫ গোল। এর আগে তিন মৌসুম খেলেন জার্মান জায়ান্ট বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে। হলুদ-কালোদের হয়ে ৮৯ ম্যাচে করেন ৮৬ গোল। জার্মানির পাঠ শুরু করার আগে ২০১৯-এ যোগ দেন অস্ট্রিয়ান বুন্দেসলিগায়। সেখানে রেড বুল সালজবুর্গের হয়ে ২৭ ম্যাচে করেন ২৯ গোল।
"