ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

প্লে-অফে খুলনা, বিদায় রাজশাহীর

জিতলেই প্লে-অফ আর হারলে নিশ্চিত বিদায়- এমন সমীকরণে খেলতে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে খুলনা টাইটানস। এ জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা। প্লে-অফ নিশ্চিত করা অন্য তিন দল হচ্ছে- ফরচুন বরিশাল, রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং কিংস।

রংপুরের বিপক্ষে জয়ের পর খুলনার সেরা চারে যাওয়ার সমীকরণটা সহজই ছিল। ?দুর্বার রাজশাহীকে পেছনে ফেলে সেরা চারে যেতে ঢাকার বিপক্ষে জয় পেলেই হতো খুলনার। তানজিদ হাসান তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ঢাকাকে মাত্র ১২৩ রানে আটকে দিয়ে খুলনার কাজটা সহজ করে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও উইলিয়াম বসিস্তো। উইকেটে বাড়তি বাউন্স থাকলেও নাইম শেখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, অ্যালেক্স রস, আফিফ হোসেন কিংবা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং-লাইনআপের কাজটা কঠিন হওয়ার কথা ছিল না। শেষ পর্যন্ত সেটা হতে দেননি মিরাজ। খুলনার অধিনায়কের হাফসেঞ্চুরিতে সহজ জয়ই পেয়েছে তারা। ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে খুলনা। রান রেটে পিছিয়ে থাকায় ১২ পয়েন্ট নিয়েও বিপিএলে থেকে ছিটকে গেল রাজশাহী।

এলিমিনেটরে রংপুর নাকি চিটাগং কিংসের বিপক্ষে খুলনার খেলতে হবে, সেটা নির্ধারণ হয়েছে গত রাতের ম্যাচের পর। দিনের দ্বিতীয় ও গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে চিটাগং জয় পেলে তারাই কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেবে। তখন এলিমিনেটরে রংপুরের সঙ্গে খেলতে হবে খুলনাকে। আর যদি বরিশাল জয় পায়, তাহলে এলিমিনেটরে খুলনার প্রতিপক্ষ চিটাগং। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। মুস্তাফিজুর রহমানের করা অফস্টাম্পের বাইরের লেন্থ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে হাবিবুর রহমান সোহানের হাতে ক্যাচ দেন নাইম। আগের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ওপেনার এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফিফ। বাঁহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের অফস্টাম্পের ডেলিভারিতে এজ হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রহমত আলীর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আফিফ। ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলে মিরাজ ও রস। তাদের দুজনের জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে খুলনা। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করা মিরাজ হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৩ বলে।

মিরাজ পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর ভাঙে রসের সঙ্গে তার ৬৮ রানের জুটি। রহমতের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন রস। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় সীমানার খুব কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২২ রান করা অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটার। শেষ দিকে মিরাজের অপরাজিত ৭৪ ও বসিস্তোর ১৮ রানের ইনিংসে সহজ জয় পেয়েছে খুলনা। ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। দিনের শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন দাস ও তানজিদ। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি মিরাজ। লিটনকে ফিরিয়ে খুলনাকে প্রথম উইকেট এনে দেন। পরে ফারমানউল্লাহ শাফিকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন। যদিও পুরো জুটিতে বেশিরভাগ রানই করেছেন তানজিদ। দারুণ ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ওপেনার।

তানজিদের হাফসেঞ্চুরির পর বসিস্তোকে উইকেট দিয়ে ফেরেন ২০ বলে ৭ রান করা ফারমানউল্লাহ। একই ওভারে আউট হয়েছেন ৫৮ রান করা তানজিদের। বাঁহাতি ওপেনারের এমন ব্যাটিংয়ের পরও বাকিদের কেউই দাঁড়াতে না পারায় ৯ উইকেটে মাত্র ১২৩ রান তোলে ঢাকা। শেষের দিকে ২০ রান করে ঢাকার পুঁজি একশ পার করেছেন সাব্বির। খুলনার হয়ে হাসান ৫ রানে ২টি এবং বসিস্তো ১০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা ক্যাপিটালস : ১২৩/৯, ২০ ওভার; (লিটন ১০, তানজিদ ৫৮, সাব্বির ২০; হাসান ২/৫, বসিস্তো ২/১০)

খুলনা টাইগার্স : ১২৮/৪, ১৬.৫ ওভার; (মিরাজ ৭৪*, রস ২২. বসিস্তো ১৮; মুস্তাফিজ ৩/১৬)

ফল : খুলনা টাইগার্স ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা : মেহেদী হাসান মিরাজ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close