ক্রীড়া প্রতিবেদক
তবু আক্ষেপ নেই শরিফুলের

কয়েকদিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়েছে। দলে জায়গা হয়নি পেসার শরিফুল ইসলামের। বিপিএলের শুরুর দিকে মোটেই ছন্দে ছিলেন না বাঁহাতি এই পেসার। তার ফলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা মেলেনি তার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যদিও ওয়ানডে ফরম্যাটে। এরপরও সাম্প্রতিক ফর্ম স্কোয়াড ঘোষণায় রেখেছে বড় ভূমিকা। বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষভাগে বল হাতে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছেন শরিফুল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাত্র ৫ রান খরচায় নিয়েছেন ৪টি উইকেট। এমন পারফরম্যান্সেই কিছুটা ভরসা পাচ্ছেন শরিফুল।
যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা না পেয়ে কোনো আক্ষেপ নেই জানিয়ে শরিফুল বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন যেটা রিজিকে লিখে রেখেছেন, সেটাই হবে। আগে-পরে কোনো বিষয় না। জানি না, তবে আফসোস নেই। আল্লাহ হয়তো ভালো কিছু কপালে লিখে রেখেছেন।’ এরপর শরিফুল আবারও যোগ করেন, ‘না না, খারাপ লাগছে না (দলে জায়গা না পেয়ে)। অনেক খুশি আমি, আল্লাহর ওপর ভরসা আছে।
বিপিএলের শুরুতে টানা ব্যর্থতার কারণে নিজেও ভড়কে গিয়েছিলেন শরিফুল। তবে সেই সময় তিনি পাশে পেয়েছেন চিটাগং কিংসের প্রধান কোচ শন টেইটকে। শরিফুল এই কোচ ও দলের অ্যানালিস্টের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তাদের ভরসার কারণেই ছন্দে ফিরতে পেরেছে বলে বিশ্বাস শরিফুলের। তিনি বলেন, ‘আসলেই শুরুতে হচ্ছিল না। আমি নিজেও পরে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। কোচ তখন আমার সঙ্গে খুব পজিটিভ একটি মিটিং করেন। আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। সঙ্গে নাসু (অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদ) ভাইও। তারা বলেন যে, যত ম্যাচ যাবে, তত রিদম ফিরবে।’ ছন্দে না থাকলেও কঠোর পরিশ্রম থেমে ছিল না শরিফুলের। বিশেষ করে নতুন বল নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। সেই পরিশ্রমেরই সুফল পেলেন এই পেসার। পরিশ্রমের খুঁটিনাটি জানিয়ে শরিফুল বলেন, ‘এসব নিয়েই কাজ করছিলাম। অনুশীলনে নতুন বলে বেশি বেশি বল করছিলাম। এখন আর ফিরতে পেরেছি। ইনজুরির কারণে এফোর্ট একটু কম হচ্ছিল। শরীর আগেই পড়ে যাচ্ছিল। এটাই অনুশীলনে চেষ্টা করছিলাম।’
এদিকে বিপিএলে এমনই আগ্রাসন দেখিয়ে শাস্তি পেলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এর ফলে দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে হবে তাকে। এর আগে আইসিসির কাছ থেকেও ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তানজিমের। এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন এই পেসার। যদিও তার দল বিপিএলের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। ফলে আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সাকিব যে দলেই খেলবেন প্রথম দুই ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকতে হবে তাকে।
গত ২৪ মাসের মধ্যে চার ডিমেরিট পয়েন্ট নামের পাশে যোগ হওয়াতেই দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেলেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে তার কোনো বাধা নেই। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য কদিন আগেই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই দলে আছেন সাকিবও।
সাকিবের ঘটনাটি সিলেটের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককে ফিরিয়েছিলেন সাকিব। এরপর এই ব্যাটারকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলতে শোনা যায় এই পেসারকে। এই বিষয়টি নজর এড়ায়নি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মোর্শেদ আলী খানের। ম্যাচ শেষে তারা সাকিবের নামে ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করেন। এরপর ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেন সাকিবকে। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি খুলনা তাইগার্সের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন সাকিব। সেইসঙ্গে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে।
"