ক্রীড়া ডেস্ক
বার্সার হোঁচটের রাতে জিতল আর্সেনাল

চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে ঘরের মাঠে আটালান্টার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে বার্সা। আর জিরোনার মাঠে ২-১ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। এতে ৬ জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ পর্ব শেষ করেছে বার্সেলোনা। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে তৃতীয় হয়েছে আর্সেনাল। লিগ পর্ব শেষে আটালান্টার পয়েন্ট ১৫। আর জিরোনা ৩৩ নম্বরে থেকে বিদায় নিয়েছে ইউরোপ সেরার মঞ্চ থেকে। সরাসরি শেষ ষোলো আগেই নিশ্চিত করেছিল বার্সেলোনা। তবুও ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্য। লিভারপুলের হার এবং নিজেরা জয় পেলে শীর্ষে উঠে যেত তারা। তবে ইংলিশ ক্লাবটি হারলেও জয় তুলে নিতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। আটালান্টার সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগী করে সে সুযোগ নষ্ট করেছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। এ হোঁচটের পরও দ্বিতীয় স্থানে আছে বার্সেলোনা। ছয়টি জয় ও এক ড্রয়ে ১৯ পয়েন্ট তাদের। পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে আর্সেনাল ও ইন্টার মিলান। নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে দল দুটি। তবে আটালান্টা শক্ত প্রতিপক্ষ হওয়ায় বার্সেলোনাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তা এক প্রকার অনুমিতই ছিল। সিরি আতে তৃতীয় স্থানে থাকা দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ দিনের শুরুতে সপ্তম স্থানে ছিল।
কিন্তু তাদের বিপক্ষে দুইবার এগিয়ে থেকেও সুযোগ হাতছাড়া করায় কিছুটা আক্ষেপে পুড়তেই পারে স্বাগতিকরা। সরাসরি শেষ ষোলো নিশ্চিত হলেও এদিন সেরা একাদশই মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। তবে ইতালিয়ানদের চাপে নিজেদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দেখাতে পারেনি তার দল, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু সময় প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশ এগিয়ে ছিল, কিন্তু সেই আধিপত্যকে ফলাফলে রূপান্তর করতে পারেনি দলটি। সহজ সুযোগ নষ্ট এবং আটালান্টার প্রতিরোধে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়।
দুটি গোল মূলত রক্ষণের ভুলে হজম করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি তাদের। ইতালিয়ানদের ম্যান-টু-ম্যান মার্কিং বার্সার খেলোয়াড়দের বিপাকে ফেলে এবং আক্রমণভাগে খেলোয়াড়রা পায়নি পর্যাপ্ত স্বাধীনতা। তবে এই মধ্যে লামিন ইয়ামাল গোলের চেষ্টা করেছিলেন। রাফিনিয়ার সঙ্গে প্রান্ত বদল করে খেলেছেন। তবে সফল হননি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সফলতা পান ইয়ামাল। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক ক্রস করেন রাফিনিয়া। এগিয়ে গিয়ে নাগাল না পাওয়া আটালান্টা গোলরক্ষক মার্তো কার্নেসেচ্চিকে পেছনে ফেলে বল ধরেন ইয়ামাল। এরপর বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি তার। পাঁচ মিনিট পর গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। ৬৭তম মিনিটে দূরপাল্লার শটে সমতা ফেরান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এদেরসন। পাঁচ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার কর্নারে ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠান আরাহো।
"