ক্রীড়া ডেস্ক
মায়ামির জয় ছাপিয়ে আলোচনায় মেসির গোল উদযাপন

নতুন বছরে প্রথমবার খেলতে নামা ইন্টার মায়ামি শঙ্কা উড়িয়ে মাঠ ছাড়ল জয়ের হাসি নিয়ে। মৌসুম পূর্ববর্তী প্রস্তুতি পর্বের ম্যাচে তারা টাইব্রেকারে পরাস্ত করল মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের ক্লাব আমেরিকাকে। তবে তাদের জয় ছাপিয়ে আলোচনায় গোলের পর আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসির উদযাপনের ধরন। গতকাল রবিবার সকালে লাস ভেগাসে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ২-২ গোলে। এরপর সরাসরি অনুষ্ঠিত হওয়া পেনাল্টি শুটআউটেও বিজয়ী খুঁজে নিতে অপেক্ষায় থাকতে হয়। শেষমেশ সাডেন ডেথে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাবটি।
রোমাঞ্চকর প্রীতি ম্যাচের প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে হেনরি মার্টিনের গোলে লিড নেয় আমেরিকা। ৩ মিনিটের ব্যবধানে তা শোধ করে দেয় মায়ামি। চমৎকার একটি আক্রমণকে পূর্ণতা দিয়ে উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজের ক্রসে খুব কাছ থেকে হেড করে বল জালে পাঠান মেসি। এরপর ঘটে ওই ঘটনা। সাধারণত দুই হাত ওপরে তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রয়াত দাদিকে স্মরণ করে গোল উদযাপন করেন মেসি। কিন্তু এদিন বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। সমতাসূচক গোলের পর মেসিকে উদ্দেশ করে দুয়ো দিচ্ছিলেন গ্যালারিতে থাকা আমেরিকার ভক্ত-সমর্থকরা। ৩৭ বছর বয়সি মেসি সেটা হজম করতে না পেরে প্রতিক্রিয়া দেখান। প্রথম নিজের জার্সির দিকে ইশারা করে তিন আঙুল উঁচিয়ে ধরেন তিনি। এরপর প্রতিপক্ষের দর্শকদের দিকে আঙুল তাক করে করেন শূন্যের ইঙ্গিত করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসির উদযাপন নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে চর্চা। তার আবেগ ধরে রাখতে না পারা দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কারণ মাঠের ভেতরে তিনি বরাবরই বিনয়ী। অনেকে মনে করছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে আর্জেন্টিনার তিনটি বিশ্বকাপ শিরোপার বিপরীতে মেক্সিকোর শূন্য ঝুলির কথা বোঝাতে চেয়েছেন মেসি। উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের আসরে মেক্সিকোর মাটিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেটা ছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে তাদের দ্বিতীয় শিরোপা।
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সৌদি আরবের কাছে হারের ধাক্কা সামলে মেসি ও এঞ্জো ফার্নান্দেজের লক্ষ্যভেদে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর দুর্দান্ত পথচলায় ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তারা তৃতীয়বারের মতো হয় বিশ্বসেরা।
আমেরিকার বিপক্ষে মেসি অবশ্য পুরো সময় খেলেননি। তাকে ৬৬ মিনিটে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন মায়ামির নতুন কোচ ও মেসির সাবেক সতীর্থ হাভিয়ের মাসচেরানো।
সেসময় ইসরায়েল রেইয়েসের ৫৩ মিনিটের গোলে মায়ামি পিছিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে। হার যখন তাদের দুয়ারে সজোরে কড়া নাড়ছিল, তখনই দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচে সমতা টানে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে জাল খুঁজে নেন তমাস আভিলেস। এরপর টাইব্রেকারে সফল হয়ে বিজয়োল্লাস করে মায়ামি। আগামী মাসে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরু করবে তারা। এর আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আরো চারটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে দলটি।
"