ক্রীড়া প্রতিবেদক
কলঙ্ক নিয়েই কি পতন হলো নক্ষত্রের?

চেক ডিজঅনার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কলঙ্ক মাথায় নিয়ে সাকিবের মতো নক্ষত্রের পতন দেখল বাংলাদেশের মানুষ। রাজনৈতিক পালাবদলের পর আর দেশে ফিরতে পারেননি সাকিব। দেশের ক্রিকেটকে বিশ্বদরবারে এগিয়ে নিলেও নিজের অনৈতিক সম্পৃক্ততা আর দুর্নীতিগ্রস্ত লেনদেনে সমালোচিত এক চরিত্র তিনি।
অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বিশ্ব ক্রিকেটে যতটা ঝলমলে, ব্যক্তি জীবনের ততটাই সমালোচিত। দীর্ঘসময় দেশের ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব রাজনীতিতে জড়িয়ে বিসর্জন দিলেন সব। ২০২৪-এর বিতর্কিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য হলেও ৬ মাসের মধ্যে দেখে ফেলেন মুদ্রার উল্টোপিঠ। দেশছাড়া অসহায় সাকিব বিসিবির কাছে নিরাপত্তার ভার তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিতর্কিত সরকারের এমপি হওয়ায় সেই দায়িত্ব নেওয়ার সুযোগ ছিল না বিসিবির। কথাটা একাধিকবার জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিসাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ব্যবসায়িক নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়ে সাকিব আগে থেকেই ছিলেন সমালোচিত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে বিপদ বাড়ে সাকিবের। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে একাধিকবার দিয়েছেন জরিমানা। ছয় প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে শতকোটির বেশি টানা আত্মসাতের অভিযোগ আছে সাকিবের বিরুদ্ধে। নিষিদ্ধ জুয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সাকিবের গৌরবময় ক্রিকেটীয় অর্জনকে করে প্রশ্নবিদ্ধ। বেট উইনার অনলাইনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে ক্যাসিনো জুয়াকে প্রমোট করেছিলেন সাকিব। এছাড়া অবৈধ স্বর্ণের ব্যবসা, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের অর্থ লোপাটসহ অনেক অভিযোগের দায় রয়েছে তার। ক্রিকেটের সঙ্গে সাকিবের অসৎ সম্পৃক্ততার ঘটনাও কম নয়। ২০১৯ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার বিষয় আইসিসিকে না জানানোয় নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়েন। সর্বশেষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর এখন একটাই প্রশ্ন- দিন শেষে সাকিবকে কীভাবে মনে রাখবে বাংলাদেশ? ক্রিকেটে যিনি দেশকে ওপরে তুলেছেন, সেই তিনিই আবার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে ভাবমূর্তি ধূলিসাৎ করেছেন।
"