ক্রীড়া প্রতিবেদক
ফেডারেশন কাপ
আবাহনীর বড় জয়, রহমতগঞ্জের চমক
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে আকাশে উড়ছিল মোহামেডান। উড়ারই কথা। কুমিল্লার ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সেই ম্যাচে সাদাকালোরা প্রায় পুরোটা ম্যাচই খেলেছিল ১০ জন নিয়ে। তারপরও জিতেছিল ১-০ গোলে।
গতকাল মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে সেই মোহামেডানকেই ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ‘বি’ গ্রুপেরই অন্য ম্যাচে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গতকাল রহমতগঞ্জের বিপক্ষে মোহামেডানকে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং রহমতগঞ্জের খেলাই নজর কেড়েছে। কিংসের বিপক্ষে জয়ের নায়ক অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে এদিন খেলেননি। আর তাতেই আক্রমণে মোহামেডানের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে।
ঘানার আরনেস্ট বোয়েটাং, আলমগীর কবির রানা, মিনহাজুর রাকিব কিংবা এ ম্যাচের অধিনায়ক মোজাফফরভরা নিজেদের মধ্যে ছিলেন সমন্বয়হীন। সে কারণে রহমতগঞ্জের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি মোহামেডান। রহমতগঞ্জের রক্ষণে উজবেক ডিফেন্ডার ইসকান্দার সিদিক জোনোভ, মাহমুদুন্নবী কিরণ, ইশতেখারুল আলম শাকিলরা বাধার শক্ত দেয়াল তৈরি করেছিলেন।
রহমতগঞ্জ মোহামেডানের রক্ষণ ভাঙে ম্যাচের ৮২তম মিনিটে। গোলের দায়টা মোহামেডানের ডিফেন্ডারদের। রাজন হালদার বক্সের মধ্যে একটা কাটব্যাক করেছিলেন। কিন্তু সেই কাটব্যাক ঠেকালেও বল যে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাজনের কাছেই আবার গেছে, সেটা বুঝতে পারেননি ডিফেন্ডাররা। রাজনই কোনাকুনি শটে মোহামেডানের গোলকিপার সাকিব আল হাসানকে বোকা বানান।
"