ক্রীড়া ডেস্ক
টটেনহ্যামের মাঠে চেলসির দুর্দান্ত জয়
ব্যর্থতায়ভরা মৌসুমে ম্যাচের শুরুতেই ৬ মিনিটের ব্যবধানে ২টি গোল করে দারুণ কিছুর আভাস দেয় টটেনহ্যাম হটস্পার। তবে এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অসাধারণ একজয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে চেলসি। টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে রবিবার নাটকীয় লড়াইয়ের শেষদিকে ব্যবধান কমালেও আরেকটি গোলের দেখা আর পায়নি স্বাগতিকরা। ৪-৩ গোলে জয় তুলে নেয় এন্টসো মারেস্কার দল। আরেকটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জোড়া গোল করেন কোল পালমার।
ফুলব্যাক মার্ক কুকুরেইয়ার হাস্যকর ২টি ভুলে ম্যাচের প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে চেলসি, পঞ্চম মিনিটে ডোমিনিক সোলাঙ্কি ও একাদশ মিনিটে দেইয়ান কুলুসেভস্কি জালে বল পাঠান। ১৭তম মিনিটে কুকুরেইয়ার পাস ধরেই বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ১টি গোল শোধ করেন জেডন স্যানচো। ১ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চেলসি। ৫৯তম মিনিটে একুয়েডরের মিডফিল্ডার মোইজে কাইসেদো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন পালমার। ৭৩তম মিনিটে চেলসির এগিয়ে যাওয়া গোলেও জড়িয়ে পালমারের নাম। দারুণ ড্রিবলে দুজনের বাধা এড়িয়ে তার নেওয়া শট রক্ষণে বাধা পায়, প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে যাওয়া বল পেয়েই বুলেট গতির ভলিতে দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার এনসো ফের্নান্দেস।
১০ মিনিট পর আরেকটি পেনাল্টি পেয়ে এবার পানেনকা শটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন পালমার। এবার বক্সে তিনিই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় চেলসি। ২০২৪ সালে এ নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে মোট ৩৮টি গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন পালমার (২৫ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট), প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক বছরের হিসেবে চেলসির কোনো খেলোয়াড়ের যা সর্বোচ্চ।
এবারের লিগে এ নিয়ে ১১টি গোল করলেন ২২ বছর বয়সি ইংলিশ মিডফিল্ডার ৭ মিনিট যোগ করা সময়ে আক্রমণের ঝড় তুলে শেষের আগের মিনিটে কেবল ব্যবধান একটু কমাতে পারেন সন হিউং-মিন। লিগে টানা চতুর্থ জয় পেল চেলসি। ১৫ ম্যাচে ৯ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। তাদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল। চেলসির সমান ১৫ ম্যাচ খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে আর্সেনাল।তাদের সমান ম্যাচ খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। ষষ্ঠ হারের পর ২০ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে টটেনহ্যাম। এদিকে ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াল আর্সেনাল। জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকল তারা। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ব্যবধান আর গড়ে দিতে পারল না মিকেল আর্তেতার দল। পুরো ম্যাচে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও পিছিয়ে থাকা ফুলহ্যাম প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১টি মাত্র শট নিতে পারে। সেটিই কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের শুরুতে সেভাবে মাঝমাঠ পার হতেই পারছিল না ফুলহ্যাম। এর মাঝেই আচমকা শাণানো আক্রমণে গোলটি করে তারা। গতিতে ডিফেন্ডার ইয়াকুব কিভিওরকে পরাস্ত করে, বল ধরে বক্সে ঢুকে কোণাকুণি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মেক্সিকোর ফরোয়ার্ড হিমেনেস।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য ৫টি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারা আর্সেনাল ৫২তম মিনিটে সমতায় ফেরে এবং এবারো কর্নারের ফলশ্রুতিতে গোলটি করে তারা। কাই হাভার্টজের হেড গোলমুখে পেয়ে টোকায় বল জালে ঠেলে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার সালিবা।
"