ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেষে এসে বরিশালের প্রথম জয়
হেরেও শিরোপা উৎসব সিলেটের
এক ম্যাচ বাকি থাকতে শিরোপা নিশ্চিতের পর শেষ রাউন্ডে হেরে গেল সিলেট। তাতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাওয়া পূরণ হলো না প্রথমবার জাতীয় ক্রিকেট লিগের শিরোপাজয়ী দলটির। আর আসরের শেষ রাউন্ডে এসে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল বরিশাল। ২৬তম আসরের শেষদিন সিলেটকে হারিয়েছে রাজশাহী। ঢাকাকে হারিয়ে শেষ ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছে বরিশাল। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ড্র হয়েছে রংপুর-খুলনা ম্যাচ।
গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসরের শেষদিন মাত্র ২.৪ ওভারে সিলেটের বাকি ২ উইকেট তুলে নিয়ে ৫৪ রানের জয়ে আসর শেষ করেছে রাজশাহী।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া নিহাদউজ্জামান দ্বিতীয়বার নেন ৫টি। তিনিই জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ২০১ রানের লক্ষ্যে ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে আগেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা সিলেট।
১২ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটিতে ৭৮৫ রান করে সিলেটের শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অমিত হাসান। তার হাতেই ওঠে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ও সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।
সিলেটের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি দিয়েই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ফরহাদ রেজা। ২০০৫ থেকে প্রায় ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে ১৪৪ ম্যাচ খেলে ৭ সেঞ্চুরি ও ৩৩ ফিফটিতে ৫ হাজার ৯০৪ রানের সঙ্গে ইনিংসে ৯ বার ৫ উইকেটসহ তার শিকার ৩১৫ উইকেট। ম্যাচ শেষে বিসিবি ও সতীর্থদের কাছ থেকে বিশেষ স্মারক উপহার পান ফরহাদ।
অন্যদিকে লিগের শেষ রাউন্ডে এসে এবারের আসরে প্রথম জয় পেয়েছে বরিশাল। রুয়েল মিয়ার চমৎকার বোলিংয়ে ঢাকাকে ১২২ রানে হারিয়েছে তারা। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ২২১ রানের লক্ষ্যে ৯৮ রানে গুটিয়ে গেছে ঢাকা। প্রথম ইনিংসে বরিশালের ২৮৯ রানের জবাবে ঢাকা করে ৯ উইকেটে ৩১০ রান। পরে বরিশাল অলআউট হয় ২৪১ রানে।
৭ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্রয়ে মাত্র ১২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে আসর শেষ করল বরিশাল। সমান ম্যাচে ২ জয় ও ৪ ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট ঢাকার। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেওয়া রুয়েল দ্বিতীয়বারে নেন ৬টি। তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আসরজুড়ে দারুণ বোলিং করা এনামুল হক নেন ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৪ ইনিংসে ৩৬ উইকেট নিয়ে আসরের সবচেয়ে সফল বোলার ঢাকার ২৪ বছর বয়সী এ পেসার।
৫ উইকেটে ২০৭ রানে শেষদিন শুরু করা বরিশাল গতকাল মঙ্গলবার আর ৩৪ রান যোগ করতে পারে। মইন খান আউট হন ৪০ রান করে।
রান তাড়ায় রুয়েলের তোপে দেড় সেশনও টিকতে পারেনি ঢাকা। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা রনি তালুকদার এবার করেন দলের সর্বোচ্চ ৩৭ রান। মাত্র ২৮ রানে ৬ উইকেট নেন রুয়েল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ২২৬
সিলেট ১ম ইনিংস : ২১২
রাজশাহী ২য় ইনিংস : ১৮৬
সিলেট ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ২০১) ৪৩.৪ ওভার ১৪৬ (আগের দিন ১৪২/৮) (সফর ৩*, নাবিল ২, নাঈম আহমেদ ২, শফিকুল ৪৯/৩, নিহাদউজ্জামান ২৪/৫, আসাদুজ্জামান ১৯/০, ওয়াসি ১৪/০, মেহেরব ২৩/১, সাব্বির ১৫০)
ফল: রাজশাহী ৫৪ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : নিহাদউজ্জামান
"