ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যানইউয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেলেন আমুরির
আশা আর শঙ্কার দোলাচল ম্যাচজুড়ে। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলেন হুবেন আমুরি। কিছু সময়ের জন্য পরাজয়ের দুর্ভাবনা যে তাকে পেয়ে বসেছিল, সেটা অবশ্য অস্বীকার করলেন না তিনি। তবে সমর্থকদের কাছ থেকে বিশেষ প্রাপ্তিতে দারুণ আপ্লুত পর্তুগিজ এই কোচ।ইউরোপা লিগের ম্যাচে বৃহস্পতিবার নরওয়ের ক্লাব বুদে/গ্লিম্টকে ৩-২ গোলে হারায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নিজেদের মাঠে ইউনাইটেড এগিয়ে যায় ম্যাচের প্রথম মিনিটেই। প্রতিপক্ষ গোলকিপারের বাজে ভুলকে কাজে লাগিয়ে গোল করেন আলেহান্দ্রো গার্নাচো। তবে ১৯ ও ২৩তম মিনিটে দুর্দান্ত দুটি গোলে এগিয়ে যায় বুদে/গ্লিম্ট। প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ ফিনিশিংয়ে সমতা ফেরান গাসমুস হয়লুন। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আরেকটি গোল আসে হয়লুনের পা থেকে। সেটিই শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় জয়সূচক গোল।ম্যাচ শেষে ইউনাইটেডের কোচ হুমেন আমুরি বললেন, গোটা ম্যাচটা একটা রোলার-কোস্টার রাইডের মতো ছিল তার কাছে।
সত্যিকারের একটা রাইডের মতো ছিল। শুরুটা ভালো করেছি আমরা, এরপর দুটি গোল হজম করি। ছেলেরা যেভাবে আমাদের মতোই খেলতে চেষ্টা করেছে, তা ভালো লেগেছে আমার। অনেক বল আমরা কেড়ে নিতে পেরেছি। অতীতে আমাদের এখানে সমস্যা ছিল, অনেক বল হারাতাম আমরা। এখন আমাদের ভাবনা হলো, বল পায়ে রাখতে হবে। ছেলেরা চেষ্টা করছে এবং আমার মনে হয়, জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।”
আমুরির কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে ইপ্সউইচ টাউনের বিপক্ষে ড্র করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ম্যাচে জয় ধরা দিল উৎকন্ঠাময় অনেকটা সময় পেরিয়ে। পিছিয়ে পড়ার পর এক পর্যায়ে তো গালে হাত দিয়ে মাঠে বসেও পড়েছিলেন তিনি। তবে পরে উল্লাসেও করেছেন দলে ঘুরে দাঁড়ানোয়।কোচ বললেন, এখনও দলের সঙ্গে বোঝাপড়া-জানাশোনা ততটা জমে ওঠেনি বলে শঙ্কার জায়গা কিছুটা ছিল তার।
দুর্ভাবনায় পড়েছি, কারণ জানি না কী হবেৃ এই মুহূর্তে তো কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই, আমরা চেষ্টা করছি বিভিন্ন কিছু পরখ করে দেখতে। ছেলেদের সম্পর্কে এখনও সেভাবে জানি না আমি, একসঙ্গে অনেক কাজ করিনি আমরা। রোমাঞ্চ নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি, পাশাপাশি নার্ভাসও ছিলাম। কারণ জানি না, খেলাটা কেমন হবেৃ।”
শুরুর দিনগুলিতে এমনিতে কিছুটা অস্থিরতা তার থাকলেও প্রশান্তির ছোঁয়া পেয়েছেন ক্লাব সমর্থকদের কাছ থেকে। ইউনাইটেডের সমর্থকেরা যেভাবে গ্রহণ করেছেন নতুন কোচকে, তাতে মুগ্ধতায় ডুবে গেছেন ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ।স্টেডিয়ামের অর্ধেকই আমাকে চেনে না। পর্তুগাল থেকে এসেছি আমি এবং এই ক্লাবের জন্য কিছুই করিনি। তারপরও তারা যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে, তা স্পেশাল। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত আমি এটা লালন করব।”
"