বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য বসুন্ধরা কিংসের। তারকাবহুল দল বানিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রাজত্ব করে চলেছে তারা। কিংসের এই সাফল্যের পেছনে দারুণ অবদান তাদের ব্রাজিলিয়ান তারকা রবসন আজেভেদো দ্য সিলভার। যাকে রবিনিয়ো নামেই চেনেন সবাই। টানা পাঁচবার বিপিএলের শিরোপা জেতা বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

৮ মাসের বেতন না পেয়ে বসুন্ধরা কিংস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাবটির ফরোয়ার্ড রবসন আজেভেদো দ্য সিলভা রবিনিয়ো। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দেন ২৯ বছর বয়সি এই ব্রাজিলিয়ান। সেই পোস্টেই জানান ৮ মাসের বেতন বকেয়া থাকার কথা।

২০২১ সালের নভেম্বরে বসুন্ধরা কিংসে যোগ দেন ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের দল ফ্লুমিনেন্সের হয়ে ২৯টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রবসন রবিনিয়ো। মানসম্মত এই ফরোয়ার্ড দ্রুতই দেশের ফুটবলে সেরা তারকাদের একজন হয়ে ওঠেন। কিংসের টানা সাফল্যের বড় কারিগর তিনিই। ক্লাবও তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট থাকায় গত বছর নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেছিল। কিন্তু আজ অভিমান নিয়েই ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন তিনি।

ফেসবুকে দেয়া সেই পোস্টে কিংসের জার্সিতে তার নানান মুহূর্তের একটি ভিডিও যোগ করে রবসন রবিনিয়ো বলেন, ‘বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে আমার চুক্তি শেষ হতে চলেছে এবং এবং আমি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই সব ভক্ত, খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের প্রতি, যাদের সাথে কাজ করার সম্মান পেয়েছি। একসাথে, আমরা ইতিহাস গড়েছি! আমরা অনেক শিরোপা জিতেছি, আমি দলের অধিনায়ক এবং ১০ নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছি, এবং বাংলাদেশের নাম এএফসি কাপ এবং এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো বড় মঞ্চে তুলে ধরার সৌভাগ্য পেয়েছি।

দীর্ঘ সেই পোস্টে এরপর তিনি কিংসের ম্যানেজমেন্টের ওপর তোপ দাগেন, আমি বাংলাদেশে আমার সময়কাল সুখী ও সুস্থতার সঙ্গে শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট যেভাবে অসম্মান দেখিয়েছে, তা সত্যিই দুঃখজনক। ম্যানেজমেন্টে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন, যাদের একমাত্র লক্ষ্য ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করা এবং এটা শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই ক্ষতিকর নয়, ক্লাবেরও ক্ষতি করে। আমি আমার ভক্তদের জন্য এটা পরিষ্কার করতে চাই যে, আমরা উভয় পক্ষের জন্য ন্যায্য একটি সমঝোতার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ক্লাব কোনো প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি। যে কারণে ৮ মাসের বেতন বুঝে না পেয়েই আমি এই অধ্যায় শেষ করছি।

তিনি যোগ করেন, ‘জীবন থেমে থাকে না! আশা কারি তারা ভবিষ্যতে তাদের আইডলদের মূল্যায়ণ করতে শিখবে। আমি বসুন্ধরা কিংস এবং বাংলাদেশের মানুষকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং অবিস্মরণীয় মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আবার দেখা হবে এবং শুভকামনা!’

"