ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতল সিলেট

তিন পেসার রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদের আগুনে বোলিংয়ে উৎসবের মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। শুরুতে শঙ্কা জাগলেও অধিনায়ক অমিত হাসান ও নাসুম আহমেদ দারুণ জুটিতে মিলে গেল রান তাড়ার সমীকরণ। বরিশাল বিভাগকে হারানোর পাশাপাশি জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো সিলেট বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার আসরের ষষ্ঠ রাউন্ডে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। ছয় ম্যাচে চারটি জয় ও দুটি ড্রয়ে শিরোপাজয়ী সিলেটের পয়েন্ট ৩৭। দুইয়ে থাকা ঢাকা বিভাগ সমান ম্যাচে দুটি জয় ও চারটি ড্রয়ে অর্জন করেছে ২৫ পয়েন্ট। জাতীয় লিগের আর একটি রাউন্ড বাকি থাকায় তাদের পক্ষে সিলেটকে টপকানো সম্ভব না।

জয়ের সুবাস পেতে থাকা সিলেট ম্যাচের শেষদিনে নামে ১০৫ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে। কিন্তু ২৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। সেই ধাক্কা সামলে চতুর্থ উইকেটে ৭৭ রানের জুটি গড়েন অমিত ও নাসুম। ৫২ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৪ রান করা নাসুম আউট হন জয় থেকে স্রেফ ১ রান দূরে থাকতে। সিঙ্গেল নিয়ে দলকে শিরোপার উল্লাসে মাতানো অমিত অপরাজিত থাকেন ৬৯ বলে পাঁচটি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে। দিনের চতুর্থ বলে রুয়েল মিয়ার শিকার হন তৌফিক খান তুষার। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে শূন্য রানে বোল্ড হন তিনি। তখন স্কোরবোর্ডে সিলেটের সংগ্রহ ১ রান। দলটির খাতায় আর ৬ রান যোগ হতে বিদায় নেন মুবিন আহমেদ দিশান। ১১ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তাকেও সাজঘরের পথ দেখান রুয়েল। এরপর পিনাক ঘোষ ৩০ বলে ১৮ রান করে সোহাগ গাজীর শিকার হলে চাপ বাড়ে সিলেটের।

তখন প্রতিরোধ গড়েন চলমান জাতীয় লিগের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অমিত ও নাসুম। অমিত একপ্রান্তে দেখেশুনে খেলেন, অন্যপ্রান্তে ওয়ানডের ঢঙে ব্যাট চালাতে থাকেন নাসুম। তাদের জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় সিলেট। তবে মইনুল ইসলামের দলটির উৎসবের মুহূর্ত আসায় কিছুটা বিলম্ব ঘটান। নাসুমকে ক্যাচ বানানোর এক বল পর আসাদুল্লাহ আল গালিবকে বোল্ড করেন তিনি। গালিবও ফেরেন শূন্যতে। পরের ওভারে কাঙ্ক্ষিত রানটি এনে দেন অমিত। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩০৪ রান। রাজা ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৬৯ রান খরচায়। জবাব দিতে নেমে ৩৪২ রান করে সিলেট। ৩৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পাওয়ায় বড় অবদান ছিল তোফায়েল ও রাজার। নবম উইকেটে ৯৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুজন। তোফায়েল ৮৪ বলে ৬৪ ও রাজা ১৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close