ক্রীড়া ডেস্ক
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি
অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে জিতল ভারত
মঞ্চটা আগের দিনই তৈরি করে রেখেছিল ভারত। তাদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যের সামনে ট্রাভিস হেড ছাড়া দাঁড়াতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার কেউ। দ্বিতীয় ইনিংসে চমৎকার ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে দাপুটে জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির লড়াই শুরু করল সফরকারীরা। ভারতের বিশাল জয় অনুমিতই ছিল, দেখার ছিল কতটা সেটা প্রলম্বিত করতে পারে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিনে নেমে ট্রেভিস হেড ছাড়া ভারতীয় বোলারদের পরীক্ষা করতে পারেননি আর কেউ।
গতকাল সোমবার পার্থ টেস্টের চতুর্থ দিনের চা-বিরতির পর ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। প্রথম টেস্টে সফরকারীরা জিতেছে ২৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। ৫৩৪ রানের রেকর্ড পুঁজি তাড়ায় ২৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি অজিরা। দলের হয়ে ওয়ানডে মেজাজে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন হেড। বুমরাহ ও সিরাজ নেন তিনটি করে উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্টে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় রানের জয়। এর আগে ১৯৭৭ সালে মেলবোর্নে ২২২ রানের জয় ছিল সবচেয়ে বড়। এ জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখার পথে শুরুতেই এগিয়ে গেল ভারত।
৫৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে তৃতীয় দিন বিকেলেই ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন সকালে নেমে আর পাঁচ রান যোগ করেই বিদায় নেন উসমান খাওয়াজা। সিরাজের বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচে থামেন খাওয়াজা। এরপর একটু প্রতিরোধ, তাও বড় কিছু নয়। ৬২ রানের জুটির পর আরেকটি ব্যর্থ ইনিংসের ইতি টানেন স্টিভেন স্মিথ। সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারিতে পরাস্ত হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া স্মিথ করেন ১৭ রান। হেড নেমে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিলেন, খেলছিলেন ওয়ানডে মেজাজে। তবে পাহাড় পেরুনোর চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো কিছুই ছিল না তা। মিচেল মার্শের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়ে হারের ব্যবধানই কমান তিনি। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো হেড ৮৯ করে ফেরেন বুমরাহর বলে। গতি-স্যুইংয়ে কাবু হয়ে দেন কিপারের হাতে ক্যাচ।
৪৭ করা মার্শকে থামিয়ে প্রথম টেস্টে উইকেট নেন নিতিশ রেড্ডি। চা-বিরতির আগে মিচেল স্টার্ককে ফেরানো ওয়াশিংটন সুন্দর বিরতি শেষে তুলে নেন ন্যাথান লায়নকে। আলেক্স কেয়ারিকে বোল্ড করে পরে ইনিংস মুড়ে দেন হারশিত রানা। পার্থ টেস্টের শুরুতে অথচ দাপট ছিল অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতকে ১৫০ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। তবে নিজেরা ব্যাট করতে গিয়ে পড়ে বুমরাহর ঝাঁজে। বিশ্বের এক নম্বর বোলার ৫ উইকেট নিয়ে অজিদের ইনিংস মুড়ে দেন ১০৪ রানে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেন ভারতীয় ব্যাটাররা। যশস্বি জয়সওয়াল করেন ১৬১ রান। ১৬ মাস পর সেঞ্চুরি পান বিরাট কোহলি। পাহাড় সম রান করে অজিদের ফেরার বাস্তবতা মিইয়ে দেন ভারত। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন বোলাররা।
"