ক্রীড়া ডেস্ক
আশা জাগিয়েও পারেনি প্রোটিয়ারা
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পাল্টাপাল্টি জয় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার। সেঞ্চুরিয়নে তৃতীয় ম্যাচে দেখা গেল রানবন্যা। যেখানে বাজিমাত করল ভারত। প্রোটিয়াদের ১১ রানে হারিয়েছে তারা। এই জয়ের ফলে চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারতীয়রা। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিলক বর্মার সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে ছয় উইকেটে ২১৯ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। জবাবে সাত উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার জোহানেসবার্গে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
শেষ দুই ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ৫১ রানের সমীকরণ ছিল। ১৯ ওভারে দলটি নেয় ২৬ রান। আশা জাগে প্রোটিয়াদের। শেষ ওভারে স্বাগতিকদের দরকার পরে ২৫ রানের। কিন্তু ওই ওভারে আফ্রিকানরা নিতে পারে ১৩ রান। বিফলেই গেল মার্কো জ্যানসেনের তাণ্ডব। ১৭ বলে ৫৪ রানে ফেরেন জ্যানসেন। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান ইনিংসে। এই ইনিংসের খেলার পথে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্রুততম দ্বিতীয় ও ভারতের বিপক্ষে দ্রুততম ফিফটির নজির গড়েন জ্যানসেন। যা বিফলে গেছে। কাজে লাগেনি ২২ বলে ৪১ রানের হেনরিখ ক্লাসেনের বিস্ফোরক ইনিংসটাও। এছাড়া রায়ান রিকেল্টন ২০, রিজা হেন্ড্রিক্স ২১, অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ২৯ রান করেন। প্রত্যেকেই পরিস্থিতির দাবি মিটিংয়ে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছেন। ব্যতিক্রম কেবল ডেভিড মিলার। ম্যাচে তিনিই ডুবিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৮ রান করতে গিয়ে ১৮ বল খরচ করেন মিলার। ম্যাচটির ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেছে ওখানেই। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। দুটি শিকার বরুন চক্রবর্তীর। তাদের কাজটা আসলে সহজ করে দিয়ে গেছেন ব্যাটাররা। আরেকটু ছোট করে বললে তিলক ও অভিষেক শর্মা। ৫৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটা তিলক সাজান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায়। ২৫ বলে ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫০ রান করেন অভিষেক। এ ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া ১৬ বলে ১৮ ও রমন্দ্বীপ সিং ১৫ রানে আউট হন। ভারত ছাড়ায় ২০০। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন অ্যান্ডিলে সিমলানে ও কেশভ মহারাজ।
ম্যাচসেরা হয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটার আবেগাপ্লুত, ‘আমি ভাবতে পারিনি, আমি শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। এটা আমার স্বপ্ন ছিল (সেঞ্চুরি করা), এবং এটা আদর্শ সময়ে এসেছে। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ, চাপের সময়ে করতে পারলাম।’ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেতে হলে উপরে খেলা জরুরি। এদিন তাকে এই সুযোগ করে দেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সূর্যকেই তাই এই ইনিংসের কৃতিত্ব দেন তিলক, পুরো কৃতিত্ব আমি সূর্যকুমার যাদবকে দেব। সে আমাকে সুযোগ দিয়েছে (তিনে ব্যাট করার)। খেলা শুরুর আগে আমাকে বলে যে তিনে খেলব। আমি খুবই, খুবই খুশি। অভিষেকের সঙ্গে শতরানের জুটির পর দ্রুত সূর্যকুমার, হার্দিক পান্ডিয়াকে হারিয়ে ফের চাপে পড়ে ভারত। তিলক রিঙ্কু সিংকে এক পাশে রেখে ৫৮ রানের আরেক জুটি পান, পরে অভিষিক্ত রামানদিপ সিংকে নিয়ে দলকে দুইশো পার করে নিয়ে যান, আমি নিজেকে মেলে ধরতে চেয়েছি। এমনকি চাপের সময়ে মৌলিক বিষয়ে জোর দিয়েছি। উইকেটে গতির তারতম্য ছিল। যখন অভিষেক (শর্মা) আউট হলো নতুন ব্যাটারের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। আমি তখন একটা জুটির খোঁজ করেছি।
"