ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

আন্তর্জাতিক ফুটবল

মালদ্বীপের কাছে বাংলাদেশের হার

আক্রমণে আধিপত্য করল বাংলাদেশ কিন্তু ফিনিশিংয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। খেলার ধারার বিপরীতে প্রথমার্ধে হজম করা গোল আর শোধই করতে পারল না হাভিয়ের কাবরেরার দল। মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে দলের সঙ্গী হলো হারের হতাশা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় গতকাল ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র গোলটি করেন আলি ফাসির।

মালদ্বীপের বিপক্ষে টানা তিন ম্যাচ অজেয় থাকার পর হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরেই জয়ের স্বাদ পেল মালদ্বীপ।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হলো ডিফেন্ডার শাকিল আহাদ তপুর। নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকায়, এই ম্যাচে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড ওঠে ডিফেন্ডার তপু বর্মনের বাহুতে।

ম্যাচের ৬ মিনিটেই ভালো একটি আক্রমণ শানায় বাংলাদেশ। মোরসালিনের শট ডিফেন্ডার ইউসুফ হুসেইন কোনোমতে পা দিয়ে আটকান, এরপর তার ফিরতি প্রচেষ্টাও প্রতিহত হয় আরেকজনের গায়ে লেগে।

সুযোগ পেলে বাংলাদেশের রক্ষণে হানা দিতে থাকে এক বছরের বেশি সময় পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরা মালদ্বীপও। পোস্টে আনিসুর রহমান জিকোর বদলে নামা মিতুল মারমা শুরুর দিকে ছিলেন স্নায়ুর চাপে। একধিকবার তালগোল পাকিয়ে ভয়ের কারণ হন এই গোলরক্ষক। পঞ্চদশ মিনিটে ছোট করে নেওয়া কর্নারের পর ফাহিমের ক্রসে ভালো জায়গায় বল পেলেও ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি রাকিব।

দুই মিনিট পরই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। বক্সের ঠিক ওপর থেকে হামজা মোহাম্মদের ফ্রি কিকে অরক্ষিত ফাসিরের হেড জালে জড়ায়। পোস্টে মিতুলও ছিলেন না তটস্থ।

দুই মিনিটের মধ্যেই সমতায় ফিরতে পারতো বাংলাদেশ। ফাহিমের আড়াআড়ি ক্রস রাকিবের কাছে পৌঁছানোর আগেই প্রতিহত করেন গোলরক্ষক, পরে দ্রুত ক্লিয়ার করেন অধিনায়ক সামোহ আলি। এরপর সোহেল রানার শট যায় বাইরে।

৩০তম মিনিটে ইসা ফয়সালের ক্রসে ফাহিমের সাইড ভলি পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যায়। একটু পর গড়বড় করে ফেলেন তপু বর্মন; ব্যাক পাস দিতে গিয়ে দুর্বল শট নেন তিনি, মিতুলও ছিলেন না প্রস্তুত। তবে দ্রুত ছুটে গিয়ে ফের বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিপদমুক্ত করেন তপু।

বিরতির একটু আগে মোরসালিনের কর্নারে মোহাম্মদ হৃদয় হেড করলে বল যায় সোহেলের পায়ে। বক্সের বাইরে থেকে এই মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়

৫২তম মিনিটে আলি ফাসিরের শট ঝাঁপিয়ে আটকান মিতুল। এরপর পাল্টা আক্রমণে আবারও ভীতি ছড়ায় মালদ্বীপ। সতীর্থের বল ধরে নাইজ হাসান বক্সে ঢুকে পড়ার আগ মুহূর্তে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইসা ফয়সাল। আলি ফাসিরের ফ্রিকিক থেকে অবশ্য বিপদ বাড়েনি।

কিছুক্ষণ পর একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। সোহেল, কাজেম আল কোরেশি ও ফাহিমকে তুলে চন্দন রায়, শাহরিয়ার ইমন ও মজিবুর রহমান জনিকে নামান কাবরেরা।

৬৯তম মিনিটে সাদউদ্দিনের ক্রসে ইমনের হেড অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। এরপর জনির শট ফিস্ট করে ফেরান মালদ্বীপ গোলরক্ষক, মোরসালিন নেন গোলরক্ষক বরাবর শট।

৮৩তম মিনিটে মোরসালিনের সাইড ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর গোছানো এক আক্রমণে আশা জেগেছিল; কিন্তু রাকিবের কাট ব্যাকে মোরসালিনের নিচু শট ঝাঁপিয়ে আটকে দেন শারিফ হোসেইন।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে সুযোগ পান রাকিব। চিপ করলে বল পেতে পারত জালের নাগাল, কিন্তু এই ফরোয়ার্ডের নিচু শট প্রতিহত করেন গোলরক্ষক। বাকি সময়েও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে আগামী শনিবার হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close