ক্রীড়া প্রতিবেদক
কিরণের হাতেই থাকছে নারী ফুটবল
২৬ অক্টোবর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিদায় নিয়েছেন ১৬ বছর ফুটবল শাসন করা কাজী সালাউদ্দিন। তার স্থলাভিষিক্ত তাবিথ আউয়াল। নবনির্বাচিত কমিটিতে নতুন মুখের সংখ্যাই বেশি। নির্বাচিত ১৪ সদস্যের মধ্যে সাত জন নতুন মুখ। চার সহ-সভাপতির চার জনই নতুন। তবে নারী উইংয়ে দায়িত্বে আগের মতো এবারও চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে মাহফুজা আক্তার কিরণকে। দেশের ফুটবলের বড় বিজ্ঞাপন এখন নারী ফুটবল। পুরুষ ফুটবলের হতাশার মধ্যে সাফল্যে ভাসছেন সাবিনা-তহুরারা। যদিও আরও অনেক উন্নতি করার সুযোগ আছে নারী ফুটবলে। লিগ নিয়ে রয়েছে নানান অভিযোগ। সেখানে কিরণের জায়গায় নতুন কাউকে আশা করেছিল অনেকে। মহিলা উইং ছাড়া অনেকগুলো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে বাফুফের নির্বাহী কমিটির প্রথম সভাতে।
আগে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন কাজী নাবিল আহমেদ। পতিত আওয়ামী লিগ সরকারের সাবেক এমপি এখন পলাতক। পলাতক থাকার কারণে নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেননি বাফুফের আগের চার বারের এই সহ-সভাপতি। তার জায়গায় এবার জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই। পাশাপাশি অর্থ কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছেন তাবিথ। আগে অর্থ কমিটির দায়িত্বে ছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তার পদত্যাগের পর কিছুদিন এই দায়িত্ব সামলেছেন ইমরুল হাসান। শুধুমাত্র এই দুই কমিটি চার বছরের জন্য গঠন করা হয়েছে। বাকি কমিটির মেয়াদ এক বছর করে থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু। বাকি কমিটির কাজের ওপর ভিত্তি করে তাদের দায়িত্বের মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে। নানান সমালোচনার পরেও নারী ফুটবলে কিরণের উপর আস্থা রাখলেন নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তার বিশ্বাস অতীতের সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে নারী ফুটবলকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাবেন কিরণ। সেটা করতে ব্যর্থ্য হলে এক বছর পর নতুন কাউকে দেয়া হবে এই দায়িত্ব।’ এদিকে ডেভেলপমেন্ট কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। আগে এই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। মার্কেটিং কমিটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রথমবারের মতো সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসা ফাহাদ করিমকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন লিগ কমিটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সাব্বির আহমেদ আরেফকে। পাইওনিয়ার লিগ কমিটি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, স্কুল ফুটবল কমিটি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ৩২ জেলা করে দুইজনকে। তারা হলেন- গোলাম গাউস ও বিজন বড়ুয়া। আগে বিজন বড়ুয়া একাই সামলেছেন এই দায়িত্ব। অনূর্ধ্ব-১৫ ন্যাশনাল কাপ চেয়ারম্যান হিসেবে মঞ্জুরুল করিমকে, অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক জাতীয় ফুটবলার সাইদ হাসান কাননকে। জেলা ফুটবল ফেরানো অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বাফুফের এই নতুন কমিটির। এই চ্যালেঞ্জ উতরানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইকবাল হোসেনকে। জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কমিটির (ডিএফএ চেয়ারম্যান) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার। সালাউদ্দিনের সবশেষ মেয়াদে যে দায়িত্বে ছিলেন সভাপতি নিজেই। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিল্টনকে করা হয়েছে। বাফুফে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও ইলেকশন কমিটি করা হয়েছে ৩ সদস্যের। ডিএফএ মনিটরিং কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মনজুরুল আলম দুলালকে।
"