ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘সত্যি বলতে আমি খুশি নই’
রামিজ রাজা মনে হয় একটু চমকেই গেলেন নাজমুল হোসেন শান্তর উত্তরটি শুনে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটারকে পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে সঞ্চালক জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার ইনিংসটা তো দলকে জিতিয়েছে, কতটা সন্তুষ্ট? বাংলাদেশ অধিনায়কের সোজা জবাব, সত্যি বলতে, ‘আমি খুশি নই।’ খুশি না হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন তিনি। ইনিংসের শুরুটা তার মনমতো হলেও শেষটা প্রত্যাশামতো করতে পারেননি।
শারজাহতে পরশু রাতে শান্তর ইনিংসটি গড়ে দেয় বাংলাদেশের জয়ের ভিত। ১১৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংস এমনিতে খুব আদর্শ কিছু নয়। তবে এই মাঠের উইকেটের যা চরিত্র, সেখানে এই ইনিংসই ছিল কার্যকর। আগে ব্যাট করে ২৩০-২৪০ রানই যে এখানে জয়ের মতো স্কোর
আগের ম্যাচে তিনি ৪৭ করে আউট হয়ে যাওয়ার পরই ধস নেমেছিল দলের ইনিংসে। ম্যাচের পর এজন্য নিজেকে দায় দিয়েছিলেন তিনি। এবার এই ম্যাচে দেখালেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। প্রথম ৩৫ বলে তার রান ছিল ৩০। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটি গড়ে সৌম্য সরকার আউট হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক মনোযোগী হন লম্বা সময় ক্রিজে টিকে থাকায়
এখানেই তার অতৃপ্তি। লম্বা ইনিংস খেললেও তার ভাবনা ছিল আরেকটু লম্বা করার। ৪০ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন তিনি। এরপর ছক্কা মারার চেষ্টায় উইকেট হারান।
শেষ পর্যন্ত দল জিতেছে। তবে ম্যাচ-সেরা হয়েও অতৃপ্তির কথা বললেন শান্ত।
‘সত্যি বলতে, আমি খুশি নই। আমার আরেকটু লম্বা সময় ব্যাট করা দরকার ছিল। কারণ, উইকেট বেশ কঠিন ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য, বিশেষ করে স্পিনের বিপক্ষে। আমার তাই আরও সময় ক্রিজে টিকে থাকা দরকার ছিল। তবে যেভাবে ইনিংসের শুরু করেছিলাম, তাতে খুশি ছিলাম।”
শান্তর একটু আগে আউট হন তাওহিদ হৃদয়, শান্তর পরপরই বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ। ১০ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদ পড়ে যায় দল।
তবে এক বছর পর ফেরা নাসুম আহমেদ ও অভিষিক্ত জাকের আলি ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত স্কোরের দিকে নিয়ে যান। ২৪ বলে ২৫ করেন নাসুম, জাকের অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৩৭ রান করে। বাংলাদেশ তোলে ২৫২ রান।
শারজাহর উইকেটের যে আচরণ ও ধারা, রাতের বেলায় ২৫৩ রান তাড়া করা ভীষণ কঠিন। নাসুম বোলিংয়েও জ্বলে ওঠেন তিন উকেট নিয়ে। সঙ্গে অন্য বোলারদের সংযোগে বাংলাদেশ ৬৮ রানে জিতে সমতায় ফেরায় সিরিজে।
"