ক্রীড়া ডেস্ক
এমন জয়ে তৃপ্ত নন বার্সার কোচ
প্রথমার্ধে দেখে মনে হচ্ছিল, প্রতিপক্ষকে স্রেফ বিধ্বস্ত করে দেবে বার্সেলোনা। তাদের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে পাত্তাই পাচ্ছিল না এস্পানিওল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেই বার্সেলোনাই কেমন যেন মিইয়ে গেল। স্রেফ জার্সি দেখে চিনতে হলো তাদের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিততে পারলেও দলের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় বিরক্তি লুকালেন না বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। লা লিগায় গত রবিবার নিজেদের মাঠে ৩২ মিনিটের মধ্যেই তিন গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। দেড় মাস পর শুরুর একাদশে ফিরে দানি ওলমো গোল করেন দুটি। তার দুই গোলের মধ্যে একটি গোল করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাফিনিয়া।
এস্পানিওলকে তখন মনে হচ্ছিল অসহায়। কিন্তু বিরতির পর দুই দলের চেহারা পাল্টে যায়। বার্সেলোনার খেলার ধার হারিয়ে যায়। সুযোগ পেয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে এস্পানিওল। শেষ পর্যন্ত ফেরার চেষ্টায় তারা সফল হয়নি। তবে একটি গোল অন্তত ফিরিয়ে দিতে পারে তারা।কাতালান ডার্বি জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের অবস্থন আরও পোক্ত করার স্বস্তি ফ্লিকের আছে। তবে বিরক্তির জায়গাটিও জোর দিয়েই বললেন বার্সেলোনা কোচ। ‘ডার্বি ম্যাচ সবসময়ই কঠিন। প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি, তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো করতে পারিনি, যতটা আমাদের করার কথা। অনেক বল আমরা হারিয়েছি, মনোযোগ হারিয়েছি, তাড়না ছিল না ততটা এবং অনেক ভুল করেছি। এসব কারণেই এস্পানিওল একটি গোল শোধ করে দিতে পেরেছে। এখানে উন্নতি করতে হবে আমাদের।’
‘হাই লাইন’ রক্ষণভাগ সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে অফসাইডের ফাঁদে ফেলার কৌশল বার্সেলোনার খেলায় দেখা গেছে এ দিনও। কদিন আগে রেয়াল মাদ্রিদকে এই কৌশলেই বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। এস্পানিওলের বিপক্ষেও এভাবেই সফল তারা।এই কৌশলে ঝুঁকির ব্যাপারটিও মানছেন ফ্লিক। তবে আপাতত পরিকল্পনা থেকে সরতে চান না তিনি, ‘এটা (ঝুঁকি) আমাদের খেলার ধরনেরই অংশ। এভাবেই আমরা খেলি।’ এভাবে খেলেই চলতি মৌসুমে দারুণ সফল তারা। লিগে ১২ ম্যাচের ১১টিতেই জিতে বার্সেলোনার পয়েন্ট এখন ৩৩। ৪০ গোল তারা করে ফেলেছে এর মধ্যেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রেয়াল মাদ্রিদ এক ম্যাচ কম খেলে পেছনে আছে ৯ পয়েন্টে।সপ্তাহের মাঝে তাদের চ্যালেঞ্জ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। এস্পানিওলের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে যে ভুলগুলো করেছে দল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে সেগুলোর পুনরাবৃত্তি দেখতে চান না কোচ। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে দলকে বলেছি যে, এ রকম মাঝেমধ্যে হতে পারে। এই পারফরম্যান্সও আজকে মেনে নিচ্ছি, কারণ শেষ পর্যন্ত দল জিতেছে এবং লিগে এখনো পর্যন্ত ছেলেরা দারুণ করে চলেছে। তবে বুধবার অবশ্যই আরো ভালো করতে হবে আমাদের।
বার্সেলোনার অপ্রতিরোধ্য পথচলায় দারুণ পারফরম্যান্স করে চলেছেন এই মৌসুমেই দলে যোগ দেওয়া দানি ওলমো।
কোচ জানালেন, এখনও শতভাগ ফিট হয়ে ওঠেননি দানি ওলমো। তার পারফরম্যান্স দেখে সেটি কে বলবে! দেড় মাসের বেশি সময় পর শুরুর একাদশে ফিরেই তিনি জ্বলে উঠলেন দারুণভাবে। জোড়া গোল করে জেতালেন বার্সেলোনাকে। ম্যাচের পর এই উইঙ্গার বললেন, এইটুকুতেই তৃপ্ত নন তিনি। তার চাওয়া আরো অনেক কিছু।
জয়ের পর মাঠে ফেরার স্বস্তির কথা বললেন ওলমো। নিজের ও দলের পারফরম্যান্সের ভালো লাগার কথাও শোনা গেল তার কণ্ঠে। ২৬ বছর বয়সী উইঙ্গার পাশাপাশি শোনালেন তীব্র তাড়নার কথাও।
"