ক্রীড়া ডেস্ক
উইন্ডিজকে হারিয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড
তিন ছক্কায় লি তাহুহুর ওভারে ২৩ রান নিয়ে সমীকরণ কিছুটা সহজ করলেন ডিয়ান্ড্রি ডটিন। কিন্তু শেষ চার ওভারে ৩৪ রানের সমীকরণ মেলাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদেরকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পরশু রাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ রানে হারিয়েছে ২০০৯ ও ২০১০ আসরের রানার্সআপরা। ১২৮ রান তাড়ায় শেষ দিকে দারুণ লড়াইয়ের পর ১২০ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের হারে নিশ্চিত হয়েছে টি-টোয়েন্টিতে এবার নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে নারী ক্রিকেট। আজ দুবাইয়ে দশম আসরের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে নিউজিল্যান্ড।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নদের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। সুজি বেটসের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন জ্যাইডা জেমস। কিন্তু পরের পাঁচ বলে দুটি সিঙ্গেলের বেশি নিতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে কেবল ৬ রান দেওয়া বেটস এর আগে অবদান রাখেন ব্যাটিংয়েও। ২৮ বলে ১ চারে করেন ২৬ রান। তার সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়া আরেক ওপেনার জর্জিয়া প্লিমার ৩১ বলে করেন ৩৩ রান। এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়তে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই ফেরেন সোফি ডিভাইন। ২ চারে ৯ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ব্রুক হ্যালিডে। ১৪ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ইসাবেল গেজ। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফলতম বোলার ডটিন। ২৩ রানে ২ উইকেট নেন এফি ফ্লেচার।
রান তাড়ায় ক্যারিবিয়ানদের প্রথম চার ব্যাটারের তিন জনই যান দুই অঙ্কে। কিন্তু কেউই ছাড়াতে পারেননি ১৫। পাঁচে নেমে তিন ছক্কায় ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে আশা জাগান ডটিন। কিন্তু পরের ব্যাটাররা পারেননি বাকিটা সারতে। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সফলতম বোলার এডেন কার্সন। মাত্র ১৪ রানে ২ উইকেট নেন অ্যামেলিয়া কার, এর একটি ডটিনের। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন কার্সন। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্যুতি ছড়ালেও হারের হতাশা নিয়েই শেষ হলো ডটিনের।
"