ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

চিলিকে উড়িয়ে আর্জেন্টিনার জয়

আর্জেন্টিনা-৩ : ০-চিলি

কোপা আমেরিকার ফাইনালে পাওয়া চোট সেরে না ওঠায় ছিলেন না মহাতারকা লিওনেল মেসি। অবসর নেওয়ায় নেই আনহেল দি মারিয়াও। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতি বিন্দুমাত্র অনুভব করতে দেননি তাদের দীর্ঘদিনের সতীর্থরা। চিলিকে হারিয়ে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এটা তাদের টানা সপ্তম জয়। বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার সকালে এস্তাদিও মনুমেন্তালে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একটি করে গোল করেছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তার, হুলিয়ান আলভারেজ ও পাওলো দিবালা।

তবে এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি দলটি। তবে ম্যাচের দশম মিনিটে দি পলের নেওয়া কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় ছোট ডি-বক্সে থেকে নেওয়া আলভারেজের ভলি লক্ষ্যে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো আর্জেন্টিনা। ২১তম মিনিটে দি পলের ফ্রি কিক থেকে নিকোলাস গঞ্জালেজের হেড ঝাঁপিয়ে লুফে নেন চিলি গোলরক্ষক গ্যাব্রিয়েল এরিয়াস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বেঁচে যায় আলবিসেলেস্তেরা। মাউরিসিও ইসলার ক্রস থেকে ডি-বক্সে লাফিয়ে উঠে দারুণ হেড নিয়েছিলেন মাতাইস কাতালান। তবে তার হেড গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে পরাস্ত করতে পারলেও পারেনি বারপোস্টকে। পোস্টে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় চিলি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণে ধার বাড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তিন মিনিট যেতে গোলও পেয়ে যায় দলটি। ডান প্রান্ত থেকে আলভারেজের ক্রস ফেক শট নিয়ে ছেড়ে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তারকে ছেড়ে দেন লাউতারো মার্তিনেজ। ফাঁকায় বল পেয়ে জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি লিভারপুল মিডফিল্ডারের। ৬৮তম মিনিটে লাউতারোর কোণাকোণি শট এগিয়ে এসে বুক দিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক এরিয়াস। ৮৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আলভারেজ। জিওভান্নি লো সোলসোর কাছ থেকে বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে এড়িয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে জাল স্পর্শ করে। পরের মিনিটে কার্লোস পালাসিওসের শট ঠেকিয়ে গোলবার অক্ষত রাখেন এমিলিয়ানো। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে থ্রু পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে পাঠাতে পারেননি আলেহান্দ্রো গার্নাচো। তবে পরের মিনিটেই গার্নাচোর কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ এক কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরেক বদলি খেলোয়াড় পাওলো দিবালা। মেসি না থাকায় এদিন ১০ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামেন তিনি।

এদিকে লো সোলসোর কাছ থেকে বল পেয়ে এক খেলোয়াড়কে এড়িয়ে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট। ক্রসবারে লেগে লক্ষ্যভেদ। কিন্তু তখনো মুখটা বেশ মলিন ছিল হুলিয়ান আলভারেজের। সতীর্থরা এগিয়ে আসতেই হাসি ফুটে ওঠে। উঠে দাঁড়িয়ে উদযাপন করেন তাদের সঙ্গে। গোলটা যে হয়েছে তা প্রথমে বুঝতেই পারেননি এ আর্জেন্টাইন। নতুন মৌসুমের শুরুটা মোটেও ভালো কাটছিল না আলভারেজের। ম্যানচেস্টার সিটি থেকে রেকর্ড ট্রান্সফারে যোগ দিয়েছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। কিন্তু অ্যাটলেটিকো কোচ দিয়াগো সিমিওনির আস্থার প্রতিদান এখনো দিতে পারেননি তিনি। গোল তো দূরের কথা চার ম্যাচে লক্ষ্যে শটই নিয়েছেন স্রেফ একটি।

এমন অবস্থায় আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নেমে গোল পাওয়ার পর উচ্ছ্বাসটা বাঁধভাঙ্গা হওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। উল্টো মুখ আরো মলিন হয়ে যায় তার। মূলত আরো একটি মিস করেছেন ভেবে মন খারাপ করে ফেলেন তিনি। পরে সতীর্থদের কাছ থেকে গোলের কথা জেনে মাতেন উচ্ছ্বাসে।

ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে আলভারেজ বলেন, আমি যখন শট নেই তখন আমি দেখেছিলাম এটা চলে গেছে। এটা ক্রসবারে লাগে কিন্তু এরপরে আমি পড়ে গেলাম এবং ভেবেছিলাম এটি বাউন্স করে বেরিয়ে গেছে। এল হুয়েভো (মার্কাস আকুনা) প্রথম একজন যিনি আমাকে বলেছিলেন যে এটি একটি গোল এবং তখনই আমি বুঝতে পেরেছি। চোটের কারণে লিওনেল মেসি ছিলেন না এ ম্যাচে। অবসর নেওয়ায় ছিলেন না আনহেল দি মারিয়াও। দুই তারকার না থাকায় এদিন আর্জেন্টিনার ডান উইংয়ে খেলেন আলভারেজ। প্রথমার্ধে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠেন। ম্যাক অ্যালিস্তারের গোলের যোগানদাতাও এ ফরোয়ার্ড।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close