ক্রীড়া ডেস্ক
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের স্বাদ নিতে চান অ্যান্ডারসন
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট একদিকে ডানা মেলতে শুরু করেছে। অন্যদিকে জেমস অ্যান্ডারসন নিজেকে বন্দি করেছেন লাল বলের উপাসনালয়ে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাই কখনো খেলাই হয়নি ইংল্যান্ডের এ কিংবদন্তির। সর্বশেষ কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন ১০ বছর আগে। ২০১৯ সালের পর আর সাদা বলের ক্রিকেটই খেলেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবসর নেওয়ার পর এবার ফ্র্যাঞ্চাইজির জগতে প্রবেশের ইচ্ছা রয়েছে তার। গত জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট শেষে অবসরে নিয়েছেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এরপর ইংল্যান্ডের বোলিং কোচের ভূমিকায় কাজ করেছেন বাকি সিরিজে। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেও একই ভূমিকায় থাকবেন তিনি। তবে খেলোয়াড়ি জীবন একেবারে পেছনে ফেলে রাখতে চান না এখনো।
দ্য ফাইনাল ওয়ার্ল্ড পডকাস্টে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘আমি এখনো আরেকটু খেলতে চাই। আমি শুধু এখন পর্যন্ত জানিনা সেটা কী। আমি এ মুহূর্তে সবকিছুর জন্যই বেশ উন্মুক্ত। বছরের বাকি সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে। শীতের সময় দুটি টেস্ট সফর (পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডে) রয়েছে এবং সেগুলোয় কোচের ভূমিকায় থাকার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই।’ অবসরের আগের সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ডারসন তরুণদের অর্থের পেছনে না ছুটতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। ৪২ বছর বয়সি অ্যান্ডারসনের খেলার যে ইচ্ছা, সেটি পূরণে ছোট দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটই ভালো বাহন হতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নাম দেওয়া নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘চিন্তা করার জন্য প্রচুর বিষয়াদি রয়েছে এবং আমার মানুষজনের সঙ্গে বসে আলাপ করা প্রয়োজন। আমি হান্ড্রেডে প্রথম ২০ বলে অনেক সুইং দেখি আর ভাবি, এটা আমি করতে পারি, এখনো করতে পারি। জানিনা এটা কার্যকর পথ কিনা, হয়তো দেখতে হবে সাদা বলের ক্রিকেটে কাজ করতে পারি কিনা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট তো এমন কিছু যা আমি কখনো খেলিনি।’
গত মাসেই ৪২ পূর্ণ করে ফেলা অ্যান্ডারসনের শরীর কতটুকু ধকল নিতে সক্ষম, সেটিও বড় প্রশ্ন। টেস্ট ক্রিকেটে ৪০ হাজারের বেশি বল করা ইংলিশ পেসার এটিকে কোনো বাধা মনে করেন না অবশ্য। তিনি বলেছেন, আমার মনে হয় না সেটা কোনো ইস্যু হবে। কিন্তু ৪২ বছর বয়সি একজন বোলারকে মানুষজন কতটুকু দলে রাখতে চাইবে আমি জানি না।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সর্বশেষ ২০১৪ সালে খেলেছেন অ্যান্ডারসন। সে বছর ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ন্যাটওয়েস্ট ব্লাস্টের ফাইনালে মাঠে নেমেছিলেন ল্যাঙ্কাশায়ারের জার্সিতে।
"