ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৬ আগস্ট, ২০২৪

‘অলিম্পিকে স্বর্ণ জেতা ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য’

টেনিস ক্যারিয়ারে সকল অর্জনই ছিল সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভক জকোভিচের। টেনিসের সর্বজয়ীদের তালিকায় তার নাম

ইতোমধ্যেই লেখা হয়ে গেছে। কেবল বাকি ছিল অলিম্পিকে স্বর্ণের পদক। প্যারিসেই ছিল তার শেষ সুযোগ। স্পেনের কার্লো

আলকারাজকে হারিয়ে অবশেষে সেটাও বাগিয়ে নিলেন সার্বিয়ান মনস্টার। কার্লোস আলকারাজ জকোভিচের জন্য ছিলেন যমের মতো। স্প্যানিশ তরুণের সামনে বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছিলেন জকোভিচ। অবশেষে প্যারিসের মাটিতে সুদে আসলে শোধ তুলে নিলেন। আলকারাজকে জকোভিচ হারিয়েছেন ৭-৬, ৭-৬ গেমে সেই সঙ্গে আরাধ্য স্বর্ণের পদকটি জিতে ক্যারিয়ারে পূর্ণতা

এনেছেন এই সার্বিয়ান। ঝুলিতে ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম থাকলেও সেই সম্মানের জন্য যে জকোভিচ কতটা মরিয়া ছিলেন, তার প্রমাণ

পাওয়া গেল ম্যাচ শেষের পর। টেনিসের লাল কোর্টেই কানড়বায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তারপর কিছুটা সামাল হয়ে সার্বিয়ার

পতাকা হাতে নিয়ে সোজা চলে গেলেন দর্শক আসনের দিকে। ক্যারিয়ারে অপূর্ণতা বলতে ছিল অলিম্পিকের স্বর্ণ। সেটা জিতে

কেমন লাগছে তাও জানালেন জকোভিচ, ‘এটিই সবচেয়ে স্পেশাল। আজকের আগ পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত

ছিল লন্ডনে ২০১২ অলিম্পিকসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সার্বিয়ার পতাকা বয়ে নেওয়া। একজন অ্যাথলেটের জন্য সবচেয়ে সেরা

মুহূর্ত দেশের পতাকা বয়ে নেওয়া। কিন্তু আজকে যা পেয়েছি সব ছাড়িয়ে গেছে তা।’ ‘সার্বিয়ার পতাকা উড়ছিল, স্বর্ণের

পদক গলায় নিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলাম, পেশাদার ক্রীড়ায় এই চেয়ে ভালো কোনো অনুভূতি আর হতে পারে না। আমি আকাশে উড়ছি।’- আরও যোগ করেন “জোকার” খ্যাত এই তারকা। আলকারাজকে প্রশংসায় ভাসিয়ে জকোভিচ আরও বলেন, ‘এখন এই ৩৭ বছর বয়সে এসে, ২১ বছর বয়সী একজনের সঙ্গে, এই মুহূর্তে যে সম্ভবত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, কিছু আগেই যে রোলাঁ গাঁরোয় ও উইম্বলডনে জিতেছি এবং সম্প্রতি অসাধারণ টেনিস খেলছে, তার সঙ্গে এমন জয়। সবকিছু বিবেচনায় নিলে এটিই সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close