ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৮ জুলাই, ২০২৪

জিম্বাবুয়েকে ‘ট্যুরিং ফি’ দেবে ইংল্যান্ড

আগামী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড একটি টেস্ট খেলতে যাবে জিম্বাবুয়ে। এর আগে ইংলিশদের মাটিতে সবশেষ ২০০০ এবং ২০০৩ সালে দুটি করে টেস্ট খেলেছে তারা। এরপর লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও দেশটিতে আর টেস্ট খেলা হয়নি রোডেশিয়ানরা। অবশেষে সেই আক্ষেপ ঘুচতে যাচ্ছে ক্রেইগ আরভিন ও সিন উইলিয়ামসদের। আগামী গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে সফরের জন্য ট্যুর ফি পাবে জিম্বাবুয়ে। আর সফরকারীদের এই ফি দেবে স্বয়ং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটা সময় ‘ট্যুর ফি’ দেওয়ার প্রচলন ছিল। সফরে আসা দলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করত আয়োজক দেশের বোর্ড। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। আধুনিক যুগের প্রথম দল হিসেবে তারা জিম্বাবুয়েকে ট্যুর ফি দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড। এই ধারা ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন রিচার্ড গুল্ড। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আয়ের যে অসমতা, সেটি কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ এই ট্যুর ফি। স্কাই স্পোর্টসে একটি আলোচনায় রিচার্ড গুল্ড বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটি দায়িত্ব। আইসিসির রাজস্ব বণ্টন পদ্ধতির কথা বলুন কিংবা দ্বিপক্ষীয় সিরিজের রাজস্ব ভাগাভাগি করা, সত্যি বলতে এসব যেভাবে হয়ে আসছে, তা পুরোনো হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ, আগামী বছর জিম্বাবুয়ে আসবে আমাদের এখানে সফরে। এমনিতে সফরকারী দলের আবাসন ও অন্যান্য কিছুর দায়িত্ব আয়োজক বোর্ডের থাকে। কিন্তু সফরে যাওয়ার জন্য কোনো ফি দেওয়া হয় না। আগামী বছর যখন আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলব, সফরে আসার জন্য ওদের ফি দেব।’ এর আগে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী জনি গ্রেভ। গত জানুয়ারিতে ক্রিকইনফোকে তিনি বলেছিলেন, ‘গত চার মাসে অস্ট্রেলিয়া সফরে দল পাঠাতে ২০ লাখ ডলারের বেশি খরচ করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এসব সিরিজ থেকে সবটুকু আর্থিক লাভ হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। আমরা একটি ডলারও পাইনি। এটা কি ন্যায্য, যুক্তিসংগত ও টেকসই কিছু?’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close