ক্রীড়া ডেস্ক
শেষ মুহূর্তে বদলে গেল ভারত পাকিস্তানের পিচ
ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহারণ ধরা হয় পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার সেই দুদলের লড়াই হবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যে মাঠের পিচের তীব্র সমালোচনা চলছে ক্রিকেট মহলে। অনেকে একে ‘বিপজ্জনক’ পিচ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে এ হাইভোল্টেজ ম্যাচকে সামনে রেখে পিচে আমূল বদলে ফেলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে আইসিসি।
নাসাউ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। সে ম্যাচে মাত্র ৭৭ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। তখন থেকেই সমালোচনার শুরু। এরপর এ মাঠে খেলেছে ভারত ও আয়ারল্যান্ড। সেই ম্যাচেও হয়নি টি-টোয়েন্টি ঘরনার স্কোর। তার ওপর অসম বাউন্সের জন্য আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। তাতে এ পিচের সমালোচনা বাড়ে আরো।
তখন থেকেই দুশ্চিন্তা ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে। কারণ এ দুদলের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। মাঝে তো নিউইয়র্ক থেকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচটিই সরিয়ে ফেলার গুঞ্জনও উঠেছিল। তবে বাস্তবতায় যা বেশ কঠিন। তাই নিউইয়র্কের পিচ ঠিক করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, ‘আয়োজক কমিটি এবং আইসিসি স্বীকার করেছে যে, নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত পিচগুলো আমরা সবাই যেভাবে চেয়েছিলাম, সেভাবে কার্যকরী হয়নি। ঠিকঠাক বাউন্স পাওয়া যায়নি। এ পরিস্থিতির প্রতিকার করতে এবং বাকি ম্যাচগুলোর জন্য সম্ভাব্য সেরা পিচ তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করা হচ্ছে।’
এদিকে টাইমস লন্ডন তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচটি নিউইয়র্ক থেকে সরিয়ে না নেওয়ার জন্য পিচ মেরামত করার কাজ শুরু দ্রুতগতিতে চালিয়ে যাচ্ছে আয়োজকরা। পিচে ঘাসের সঙ্গে সঙ্গে ফাটলও রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ফাটল মেরামত করার চেষ্টা করছে। মূলত ফাটলের কারণেই অসমান বাউন্স তৈরি হয়েছে। পিচের ওপর ক্রমাগত রোলার চালানোয় আগের থেকে অনেক পাটা হবে বলে আশা করছে আয়োজকরা।
এদিকে নিউইয়র্কের পিচ নিয়ে জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার ও ইংল্যান্ডের সাবেক কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য এটা মোটেও ভালো পিচ নয়। এটা বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা দেখেছি বল কীভাবে উভয় দিকে বাউন্স করছে, কখনো কখনো কম বাউন্সও করছে। কিন্তু বেশির ভাগ সময়েই অস্বাভাবিক ভাবে উঁচু হয়েছে এবং খেলোয়াড়দের থাম্ব, গ্লাভস এবং হেলমেটে আঘাত করছে।’
"