ক্রীড়া ডেস্ক
দুর্দান্ত জয়ে দুইয়ে ইতালি
ইউরোর মূল পর্বে খেলতে হলে ইতালির সামনে জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। গোলবন্যার ম্যাচে সেই বাধা ভালোভাবেই উতরে গেছে ২০০৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে জয় পেলেও ম্যাচটিতে রোমাঞ্চের কমতি ছিল না। এই জয়ে ইউরোর মূলপর্বে সরাসরি খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল আজ্জুরিরা। শুক্রবার রাত পৌনে ২টায় রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইতালি ও উত্তর মেসিডোনিয়া। ম্যাচটিতে ৫-২ গোলে জয় পায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি।
ইতালির হয়ে জোড়া গোল করেন ফেডরিকো চিয়েসা। একটি করে গোল করেন মাত্তেও ডারমিয়ান, গিয়াকোমো রাসপাডোরি ও স্টেফান এল শারাউই। উত্তর মেসিডোনিয়ার পক্ষে জোড়া গোল করেন জানি আতানাসভ। গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে অফের সেমিফাইনালে এ মেসিডোনিয়ার কাছে হেরেই মূলপর্বে খেলতে ব্যর্থ হয় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এবারের ইউরো বাছাইয়ে প্রথম দেখাতেও একই দলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই মেসিডোনিয়াকে চেপে ধরে ইতালি। তার ফলস্বরূপ ম্যাচের ১৪তম মিনিটে গোল পেয়ে যায় আজ্জুরিরা। কিন্তু অফসাইডের ফাঁদে পড়লে তা বাতিল হয়ে যায়। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিকদের।
১৭ মিনিটে ফেডরিকো দিমারকো ছোট করে কর্নারে বল দেন রাসপাদোরিকে। তার ক্রসে দূরের পোস্টে হেডে বল জালে পাঠান অরক্ষিত দারমিয়ান। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় ইতালি। নিজেদের বক্সে এক খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু জর্জিনহোর নেওয়া দুর্বল শট মেসিডোনিয়ার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে গোলবঞ্চিত হয় ইতালি। এক মিনিট পর নিকোলা বারেল্লার পাস থেকে ম্যাচে নিজের প্রথম গোল করেন ফেডরিকো চিয়েসা।
বিরতির আগে যোগ করা সময়ে ডমেনিকো বেরারদির পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল আদায় করে নেন চিয়েসা। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইতালি। বিরতি থেকে ফিরে দুই গোল শোধ করে লড়াই জমিয়ে তোলেন মেসিডোনিয়ার বদলি মিডফিল্ডার জানি আটানাসব। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে আলোস্কির পাস থেকে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন জানি। ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে জানি দল ও নিজের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে খেলা জমিয়ে তোলেন। ম্যাচের ৮১তম মিনিটে নিকোলা বারেল্লার পাস থেকে গোল করে ম্যাচ নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেন গিয়াকোমো রাসপাদোরি।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফেদ্রিকো ডিমারকোর পাস থেকে গোল করে মেসিডোনিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন স্টেফেন এল সারাওয়ে। এই জয়ে সরাসরি ইউরোর মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো ইতালির। ৭ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্র নিয়ে ১৩ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। তাতে দলটি উঠে এসেছে ‘সি’ গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে রয়েছে ইউক্রেন। শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ইতালি-ইউক্রেন।
"