ক্রীড়া ডেস্ক
আর্সেনালের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
বায়ার্নে নতি স্বীকার ম্যানইউর
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা ভালো যায়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হেরেছে রেড ডেভিলরা। অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্দহোভেনকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্সেনাল।
আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন স্বাগতিক দলের কোচ টমাস টুখেল। গত মৌসুমে ম্যানসিটির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে পাওয়া নিষেধাজ্ঞায় টাচলাইনের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। কোচের অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণেই হোক, ঘরের মাঠে শুরুটা নিজেদের মতো করতে পারেনি বায়ার্ন। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। বায়ার্নের ডিফেন্স চিড়ে ভেতরে ঢুকে ব্যাকপোস্টে ক্রস পাঠান এরিকসেন। আলফন্সো ডেভিস সেই ক্রস ক্লিয়ার করলেও ফিরতি বল গিয়ে পরে আবার এরিকসেনের পায়ে। তার সরাসরি শট ফেরাতে সক্ষম হন উলরিখ। প্রথম ২৫ মিনিটে বলের দখল রেখে সিংহভাগ আক্রমণ করে ইউনাইটেডই। কিন্তু ২৮ মিনিটে খেলার গতির সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে গোল করে বসেন লিরয় সানে। রাইট উইং থেকে বল নিয়ে ভেতরে এসে ডি-বক্সের সামনে কেইনের সঙ্গে একবার ওয়ান-টু খেলে সরাসরি শট নেন তিনি। তার বাঁ পায়ের শট সরাসরি ওনানার দিকে এলেও তা ফেরাতে ব্যর্থ হন ম্যানইউ গোলরক্ষক। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ।
এ গোলের সঙ্গে সঙ্গে যেন প্রাণ ফিরে পায় বায়ার্ন। এর ৪ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করে বেভারিয়ানরা। এবার ম্যানইউর পুরো রক্ষণকে ড্রিবল করে ডি-বক্সে ঢুকে গ্যানাব্রিকে কাটব্যাক করেন জামাল মুসিয়ালা। ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা গ্যানাব্রির শট লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে নাটমেগ করে জালে জড়ায়।
২-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে আবার উজ্জীবিত অবস্থায় ম্যাচ শুরু করে সফরকারী ম্যানইউ। ৪৯ মিনিটে রাশফোর্ডের পাস থেকে নেওয়া হইলান্ডের ডিফ্লেক্টেড জালে জড়িয়ে গেলে ম্যাচে ফিরেও আসে তারা। কিন্তু এ ফিরে আসা স্থায়ী বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। হইলান্ডের গোলের ২ মিনিটের মাথায় অপর ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করেন এরিকসেন। ভিএআরের পরামর্শে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। যেটি জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন হ্যারি কেইন।
৮৮ মিনিটে ব্যবধান আবার এক গোলে নিয়ে আসেন কাসেমিরো। ডি-বক্সে প্রবেশ করে বল নিয়ে স্কিল দেখিয়ে মাটিতে পড়ে গেলেও ভূপাতিত অবস্থায় তার নেওয়া শটই আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনে ম্যানইউকে। কিন্তু এবারও ম্যানইউর ফিরে আসা স্থায়ী হয় ৪ মিনিট। ৯২ মিনিটে কিমিখের বাড়ানো বল থেকে গোল করেন বদলি নামা ১৮ বছর বয়সি তরুণ স্ট্রাইকার ম্যাথিস টেল। ৯৫ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের ক্রসে হেড করে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন কাসেমিরো। এ গোলের পরপরই বাজে শেষ বাঁশি।
এদিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে আইন্দহোভেনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে আর্সেনাল। ৪ গোলের মধ্যে তিনটাই প্রথমার্ধে করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। অষ্টম মিনিটে ইংলিশ ফরওয়ার্ড বুকায়ো সাকার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ২০তম মিনিটে লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড আর্সেনালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটা করেন। প্রথমার্ধের ৭ মিনিট আগে স্কোরশিটে নাম লেখান গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ৭০ মিনিটে গোল উৎসব থামে লন্ডনের প্রতিনিধিদের। এ যাত্রায় জালে বল জড়ান মার্টিন ওডেগার্ড। এ ম্যাচ দিয়ে ছয় মৌসুম পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রত্যাবর্তন হয় আর্সেনালের। প্রত্যাবর্তনটা বড় জয়ে রাঙিয়ে নিল মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
ফল
বায়ার্ন মিউনিখ ৪-৩ ম্যানইউ
রিয়াল মাদ্রিদ ১-০ বার্লিন
সেভিয়া ১-১ লস
আর্সেনাল ৪-০ পিএসভি
বেনফিফা ০-২ সালজবুর্গ
ব্রাগা ১-২ নাপোলি
"