ক্রীড়া প্রতিবেদক
‘ঘরের মাঠে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য’
ঘরের মাঠ যেন বাংলাদেশের দুর্গ। সবশেষ এক দশকে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা সময়ই পার করছে বাংলাদেশ। এ সময়ে ভারত, সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছেন সাকিব আল হাসানরা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে শক্তিশালী সেটা ভালো করে জানেন লকি ফার্গুসনও। ওয়ানডে সংস্করণে ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্যই হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। তবে চান্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর খানিকটা অচেনা হয়ে উঠেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হেরেছে সাকিব-তামিম ইকবালরা।
সবশেষ এশিয়া কাপেও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি লিটন দাসরা। তবুও বাংলাদেশকে সমীহ করছেন ফার্গুসন। নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ভালো করে জানেন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কতটা ভয়ংকর দল হয়ে উঠতে পারে। সবশেষ ১০ বছরে ৭১ ম্যাচের ৪৫টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যে কারণে এই সিরিজকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন কিউই অধিনায়ক। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে ফার্গুসন বলেন, ‘দেখুন, আমরা সবাই পেশাদার। সামনে যে খেলাটা আসে আমরা সেটাই গুরুত্ব দেই। এটা আমাদের জন্য বড় এবং চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বললে বিশ্বকাপের জন্য এটা ভালো বিল্ড আপ। একই সঙ্গে আমরা এই সিরিজে খুব বেশি ফোকাস করছি।’
‘আমরা জানি বাংলাদেশ ঘরের মাঠে কতটা শক্তিশালী দল। তাদের বিরুদ্ধে খেলাটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমবারের মতো আমি এখানে খেলছি, সেই হিসেবে আমারও শেখার আছে। ছেলেরা সবাই প্রথম ওয়ানডের দিকে তাকিয়ে আছে এবং তৈরি হওয়ার পথে।’ মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন স্পিনাররা। সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজরা না থাকলেও শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেনরা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারেন। তবে তাদের সামলাতে ব্যাটাররা প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানান কিউই অধিনায়ক।
ফার্গুসন বলেন, ‘অবশ্যই, এটা বাংলাদেশের ঘরের মাঠ। আমি যেটা বলছিলাম তাদের ভালো স্পিন অ্যাটাক আছে। কয়েক বছর আগে এখানে বেশ কয়েকজন খেলেছে, তারা আমাদের তথ্য দিয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যাটাররা প্রস্তুত হচ্ছে। বিশ্ব জুড়ে খেলার কারণে তারা স্পিন ট্র্যাকে খেলে অভ্যস্ত। আমার মনে হয় অনেক কারণেই এটা ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ হবে। একই সঙ্গে ছেলেরা সেটার জন্য প্রস্তুত।’
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজটি রোমাঞ্চকর হবে বলেই বিশ্বাস রনকির। তিনি বলেন, ‘টার্ন তো থাকবেই, এখানে এটা অনেক বড় ব্যাপার। কন্ডিশন বদলেছে। রানও আলাদা হবে এখানে। ইংল্যান্ডে অনেক বড় রান হয়েছে। ব্যাটিং করা সহজ ছিল, বোলারদের জন্য একটু কঠিন। এখানে একদম আলাদা হবে। হয়তো লো স্কোর হবে। অনেকটা ওল্ড স্কুল ওয়ানডে ফিরে আসবে। আমার মনে হয় এখানে মানিয়ে নেওয়া (গুরুত্বপূর্ণ), এটা দ্রুত করতে চাই।’ একই সঙ্গে বাংলাদেশ দল নিয়ে তার মন্তব্য, ‘তারা সবসময় দুর্দান্ত দল, কঠিন ক্রিকেট খেলে। এটা তাদের কন্ডিশন, তারা জানে এখানে কীভাবে খেলতে হয়। এটা রোমাঞ্চকর সিরিজ হবে।’ রনকি আরো বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত সিরিজ হবে। নিউজিল্যান্ড থেকে আসা যে কারো জন্যই এখানে খেলা চ্যালেঞ্জ হবে।
"