লাসিথ মালিঙ্গাকে টপকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি বছর দুয়েক আগেই করেছিলেন সাকিব আল হাসান। পরে তাকে টপকে শীর্ষে উঠে আসেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। তবে ফের শীর্ষস্থান দখল করেছেন সাকিব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইফার তুলেই শীর্ষে ওঠেন এ অলরাউন্ডার। বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফারের স্বাদ নেন সাকিব। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২২ রানের খরচায় পাঁচ উইকেট নেন তিনি। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের উইকেট সংখ্যা হলো ১৩৬টি। খেলতে হয়েছে ১১৪টি ম্যাচ। এদিন মাঠে নামার আগে সাউদির চেয়ে তিন উইকেট পেছনে ছিলেন সাকিব। এদিনের পাঁচ উইকেটে তার চেয়ে দুটি এগিয়ে গেলেন তিনি। ১০৭ ম্যাচে ১৩৪টি উইকেট সাউদির। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। ৮০ ম্যাচে তার শিকার ১২৯টি উইকেট। আগামীকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের একই ভেন্যুতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে দুই দল।

এদিন বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই আইরিশ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লরকান টাকারকে আউট করেন সাকিব। স্কয়ার লেগে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত করেন তাকে। পরের ওভারে ফিরে দেন জোড়া ধাক্কা। প্রথম বলে রস অ্যাডাইরকে বোল্ড করেন। সে ওভারের শেষ বলে গ্যারেথ ডিলেনিকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন। নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেও জোড়া শিকার করেন সাকিব। তৃতীয় বলে জর্জ ডকরেলকে ফেলেন এলবিডব্লিউর ফাঁদে। সে ওভারের শেষ বলে হ্যারি ট্যাকটরকে বোল্ড করে পূরণ করেন নিজের ফাইফার। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রথম ক্রিকেটার যিনি এ কীর্তি দুবার করলেন। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব, যা তার ক্যারিয়ারসেরা ফিগার। সাকিবের ঘূর্ণিতে বেশ বড় বিপদেই পড়ে আয়ারল্যান্ড। এমনিতেই লক্ষ্যটা বিশাল বড়। সিরিজে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে তাদের। কিন্তু সে কাজটা আরো কঠিন করে দেন তিনি। দলীয় ৪৩ রানেই ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকছে দলটি। এর আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭ ওভারে নির্ধারিত ম্যাচে আইরিশদের ২০৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টাইগাররা।

এরপর দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তার মত, ‘গত কয়েক ম্যাচের মতো একই পারফরম্যান্স আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম এবং আমরা ভালোভাবে সেটা করেছি। যদি আমরা সেরা দল হতে চাই, আমাদের প্রথম বল থেকে সেরাটা দিতে হবে। আমরা এটা নিয়েই কথা বলেছি এবং একমত হয়েছি এবং সেভাবেই খেলছি।’

স্পিনে যে আয়ারল্যান্ডকে ভোগানো যাবে সেটা নিজে ব্যাটিং করার সময় বুঝেছিলেন সাকিব, ‘যখন আমি ব্যাটিং করছিলাম, টেকটর আস্তে বল করার সময় ঘুরছিল। তাই মনে হচ্ছিল আজ স্পিনারদের জন্য কিছু একটা আছে এবং স্পিনেই শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ ৭৭ রানের জয়ে ২-০-তে সিরিজ জেতা হয়ে গেছে। কিন্তু ধবলধোলাই করতে চান সাকিব, ‘আপনি যদি ভালো দলও হন, যখন অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডে যাবেন, তখন তারা ২-০-তে এগিয়ে থাকলেও আপনাকে ৩-০-তে হারাতে চাইবে। আমরাও একই রকম কিছু করতে চেষ্টা করব। আত্মতৃপ্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, আমরা হয়তো কিছু খেলোয়াড়কে যাচাইয়ের চেষ্টা করব কিন্তু তারাও ভালো করার জন্য ক্ষুধার্ত থাকবে।’

"