ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৮ মার্চ, ২০২৩

‘বাংলাদেশের ছেলেরা এখন ভয়ডরহীন’

ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগে টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংলিশদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম পরীক্ষায় উতরেও গিয়েছিল স্বাগতিকরা। ফেয়ারলেস ক্রিকেটে টাইগারদের সামনে পাত্তাই পায়নি জস বাটলারের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও দেখা মিলেছে একই চিত্র। রনি তালুকদার ও লিটন দাসের ব্যাটে বাংলাদেশের আক্রমণাত্মক শুরু। বোলিং তাসকিন আহমেদণ্ডহাসান মাহমুদরা ছিলেন স্পট অন। মাস কয়েক আগেও ধুঁকতে বাংলাদেশের হঠাৎ এমন পরিবর্তনের কারণে কি? সাকিব আল হাসান জানালেন পেছনের রহস্য। বাংলাদেশের অধিনায়কের মতে, ক্রিকেটাররা এখন ঘাবড়ে যায় না এবং খুব বেশি চিন্তাও করে না।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, ‘ছেলেরা যারা এসেছে তারা কেউ ঘাবড়ে যাচ্ছে না, খুব বেশি চিন্তাও করে না। পরিস্থিতির কারণেই এমনটা হচ্ছে। তারা তাদের ক্রিকেটটা খেলতে চায়, উপভোগ করতে চায়। সে কারণেই তারা ভালো করছে।’ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের প্রথম ওভারে থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন রনি ও লিটন। প্রতি ওভারে চার-ছক্কা মেরে কে কার চেয়ে বেশি রান তুলতে পারেন এমন প্রতিযোগিতায় যেন নেমেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার। তাতেই পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান আসে বাংলাদেশের।

যা টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে টাইগারদের সবচেয়ে বেশি রান তোলার রেকর্ড। লিটন-রনির উদ্বোধনী জুটি থেমেছে ৯১ রানে। অথচ উইকেট কেমন আচরণ সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন সাকিব। ওপেনারদের ব্যাটিং ইন্টেন্ট নিয়ে খুশি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। তাদের জুটি ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন বলে জানান সাকিব তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় উভয় ওপেনার যেভাবে ব্যাটিং করেছে...। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না উইকেট আসলে কেমন আচরণ করবে। শুরু থেকেই তারা ইতিবাচক ছিল, ইনটেনশন ভালো ছিল। আমরা ঠিক এটাই চাই। তাদের জুটিই আমাদের ম্যাচের গতিপথ তৈরি করে দিয়েছে।’

বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ৮ ওভারে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১০৪ রান। শুরুর দুই ওভারে আইরিশরা ৩২ রান তুললেও তাদের লাগাম টেনে ধরেন হাসান ও তাসকিন। বিশেষ করে তাসকিন ছিলেন দুর্দান্ত। নিজের প্রথম ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার পরের ওভারে নিয়েছেন আরো ১ উইকেট। তাতে ২ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে জেতান তাসকিন। এদিকে একাদশে জায়গা পাওয়াদের বাইরে পেসার হিসেবে রয়েছেন শরিফুল ইসলাম।

এ ছাড়া স্কোয়াডের বাইরে রয়েছেন ইবাদত হোসেনের মতো পেসাররা। সাকিব মনে মনে করেন, সুযোগ না পাওয়ারা সুযোগ পেলে তারাও তাসকিনদের মতো পারফর্ম করবেন। সাকিব বলেন, ‘তারা যেভাবে বোলিং করেছে সেটা দুর্দান্ত। আরো বেশ কয়েকজন ভালো ছেলে আছে হয়ত তারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। আমার মনে হয় তারা যখন সুযোগ পাবে তখন তারাও তাদের সমান পারফর্ম করবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close