ক্রীড়া ডেস্ক

  ১৬ মার্চ, ২০২৩

কোয়ার্টার ফাইনালে সিটি

হালান্ড ঝড়ে উড়ে গেল লিপজিগ

আর্লিং হালান্ডের রেকর্ড পাঁচ গোলের সুবাদে পরশু রাতে আরবি লিপজিগকে শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সিটি। একই সঙ্গে এক মৌসুমে ৩৯ গোল করে নতুন ক্লাব রেকর্ডও গড়েছেন নরওয়েজিয়ান এই তরুণ। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার দল চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আট নিশ্চিত করেছে।

ম্যাচ শেষে হালান্ড বলেছেন, ‘আমার সর্বময় শক্তি হলো গোল করার ক্ষমতা। গোল করার সময় আমার মাথায় অনেক কিছু কাজ করে, আমি চেষ্টা করি গোলরক্ষক যেখানে নেই সেখানে বলটি নিয়ে যেতে।’ আবুধাবী মালিকানাধীন সিটির এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগে বেশ খানিকটা পথ বাকি আছে। কিন্তু নক আউট পর্বে এই সময়ে এসে সিটি কখনই হালান্ডের মতো কোনো স্ট্রাইকারকে দলে পায়নি, যে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মাত্র ২২ বছর বয়সে ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে ২৫ ম্যাচে হালান্ড ইতোমধ্যেই ৩৩ গোল আদায় করে নিয়েছেন। হালান্ড আরো বলেন, ‘প্রথমত এই ধরনের প্রতিযোগিতায় খেলতে পেরে আমি সত্যিই গর্বিত। তার উপর পাঁচ গোল, পাশাপাশি ৭-০ গোলের জয়, সত্যিই অসাধারণ।’ কাল ম্যানচেস্টারের তুষারস্নাত আবহাওয়া অনেকটাই হালান্ডের মাতৃভূমির সদৃশ ছিল। কিন্তু চাপে থাকা সিটি পুরো ম্যাচে এর কোনো প্রভাবই পড়তে দেয়নি। বড় জয়ে এখনো চ্যাম্পিয়নস লিগে টিকে থাকার স্বপ্ন তারা ভালোভাবেই ধরে রেখেছে।

তিন সপ্তাহ আগে জার্মানির মাটিতে প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। যে কারণে কালকের ম্যাচটি ছিল বাঁচা মরার লড়াই। ইনজুরি আক্রান্ত লিপজিগ পুরো ম্যাচে কখনই তারকা সমৃদ্ধ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিতে পারেনি। লিপজিগ কোচ মার্কো রোস বলেছেন, ‘এটা সিটির অতি অসাধারণ একটি পারফরমেনস ছিল। তারা কোনোভাবেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের নিতে দেয়নি। শেষ কথা হচ্ছে পুরো বিষয়টি আমাদের সকলের জন্যই হতাশার। এই জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল।’

সপ্তাহের শেষে প্রিমিয়ার লিগে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে সিটির ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে কেভিন ডি ব্রুইনাকে বিশ্রামে রেখেছিলেন গার্দিওলা। কাল যথারীতি মূল একাদশে ফিরে নিজের সেরাটা দিয়েছেন এই বেলজিয়ান তারকা। ডি ব্রুইনার নিখুঁত ক্রস থেকে ইকে গুনডোগান তিন মিনিটেই সিটিকে এগিয়ে দেবার সুযোগ নষ্ট করেন।

২২ মিনিটে বেঞ্জামিন হেনরিক্সের বিরুদ্ধে ভিএআর সিটিকে যে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিল, তা সিটির অনেক খেলোয়াড় ও সমর্থকরাই লক্ষ্য করেননি। স্পট কিক থেকে হালান্ড লো শটে গোলরক্ষক জানিস ব্লাসভিচকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় সিটিজেনরা। মৌসুমে স্পট কিক থেকে এটি হালান্ডের ষষ্ঠ গোল। দুই মিনিট পর হালান্ড ডি ব্রুইনার দিকে বল বাড়িয়ে দেন। ডি ব্রুইনার জোড়ালো শটটি বারে লেগে ফেরত এলে হেডের সাহায্যে ব্যবধান দ্বিগুন করেন হালান্ড। বিরতির আগেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এ তারকা। জ্যাক গ্রীলিশের কর্ণার থেকে রুবেন ডিয়াসের হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসলে সিটির নাম্বার নাইন তা জালে জড়াতে ভুল করেননি।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৪ মিনিটের মধ্যে গুনডোগানের কোনাকুনি শটে সিটি ৪-০ ব্যবধানের লিড নেয়। ৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় সুযোগে ব্লাসভিচকে পরাস্ত করে হালান্ড রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে সিটির হয়ে ৩৮ গোল করে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছিলেন টমি জনসন। ৫৭ মিনিটে ম্যানুয়েল আকাঞ্জির শট রুখে দেন ব্লাসভিচ। কিন্তু ফিরতি বলে এবার জনসনকে ছাড়িয়ে যান হালান্ড। এই কৃতিত্বে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক ম্যাচে লিওনেল মেসি ও লুইজ আদ্রিয়ানোর পাঁচ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেছেন। ম্যাচ শেষের ২৫ মিনিট আগে হালান্ডের পরিবর্তে জুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান গার্দিওলা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close