ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেষটা রাঙাতে পারল না ঢাকা
প্লে-অফের স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। তারপরও টুর্নামেন্টের শেষটা ইতিবাচকভাবে শেষ করল শুভাগত হোমের দল। ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠস্থানে ওঠে এলো চট্টগ্রাম। চলতি আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করল ঢাকা ডমিনেটর্স। ১১৯ রানের সহজ লক্ষ্যে চট্টগ্রামের কাছে ১৫ রানে হেরেছে নাসির হোসেনের দল।
বিপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে ঢাকার লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১৯ রানের। সেই লক্ষ্যে নেমে পাওয়ার প্লেতে সৌম্য সরকার ও আবদুল্লাহ আল মামুনের উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। ২ রানে ফেরেন মামুন ও সৌম্য বিদায় নেন ১৬ বলে ২১ রানে। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসা ঢাকা আরো বিপদে পড়ে আরিফুল হকের বিদায়ে। জিয়াউর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন আরিফুল। তবে ৩ ব্যাটার ফিরলেও নাসির হোসেন ও অ্যালেক্স ব্লেক মিলে দলকে বিপদমুক্ত করেন। যদিও ৬৭ রানে নিহাদউজ্জামানের শিকার হয়ে ১৩ রানে ফেরেন ব্লেক। এরপর দলীয় ১০০-এর আগে নাসিরকে ফিরিয়ে দেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ৩৩ বলে ২৪ রান করে ঢাকার অধিনায়ক বিদায় নেওয়ার পর আমির হামজাও ফেরেন দ্রুত। ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় ঢাকা।
মাঝে মন্থর ব্যাটিংয়ে বল ও রানের ব্যবধানে হয়ে ওঠে বিস্তার পার্থক্য। দলকে সেখান থেকে চাপমুক্ত করে জয়ের বন্দরে নিতে বড় শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন শরিফুল ও জাহিদুজ্জামান। দলীয় ১০০-এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার প্রয়োজন হয় ১৯ রানের। কিন্তু জিয়াউর রহমানের বিপক্ষে বোল্ড হয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করে দেন সানি। ওভারের শেষ বলে কোনো রান নিতে না পারায় ১০৩ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ১৫ রানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা।
এর আগে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেনি দলটির টপঅর্ডার। পাওয়ার প্লেতে ১৯ রানের ভেতর সাজঘরে ফেরেন ৩ ব্যাটার। মেহেদি মারুফ ৮, ইরফান শুক্কুর ৮ ও উম্মুক্ত চাদ বিদায় নেন ০ রানে। পাওয়ার প্লের পর দ্রুত আরো দুটি উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। দলীয় ২৮ রানে ৫ ব্যাটারের বিদায়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম। আফিফ ও শুভাগত ফেরেন এক রান করে। তবে বিপদে দলের পাশে দাঁড়িয়ে হাল ধরেন ক্যাম্ফার ও উসমান খান। তাদের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করলেও ১১ রানে বিদায় নেন ক্যাম্ফার। এরপর ৩০ রান করা উসমানকে বিদায় করেন আরাফাত সানির। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। এরপর দলীয় ৮০ রানে রান আউট হন ডারউইস রাসুলিও। তবে শেষের দিকের ব্যাটারদের চেষ্টায় আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮ উইকেটে ১১৮ রান নিয়ে ইনিংস শেষ করে ঢাকা। ২০ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জন্য বড় অবদান রাখেন জিয়াউর। ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আরাফাত সানি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১১৮/৮ (২০ ওভার)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১০৩/৯ (২০ ওভার)
"