ক্রীড়া ডেস্ক
‘বার্সার এখনো অনেক পথ বাকি’
ব্যবধান আগে থেকেই ছিল অনেক। জোড়া প্রাপ্তির এক রাতে তা বেড়ে গিয়েছে আরো। মায়োর্কার কাছে হেরে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সে ফলাফল জেনে মাঠে নামার পর বার্সেলোনা উড়িয়ে দিয়েছে সেভিয়াকে। তাতে শীর্ষে অবস্থান যেমন সংহত হয়েছে আরো, তেমনি আরেকটু দূরত্ব কমেছে শিরোপার সঙ্গে। তবে এখনই নিশ্চিন্ত মনে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে নারাজ বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেস। লা লিগায় রোববার মায়োর্কার কাছে রিয়াল হেরে যায় ১-০ গোলে। পরে সেভিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ব্যবধান এখন ৮ পয়েন্টের। ২০ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট বার্সেলোনার, ৪৫ রিয়ালের। তিনে থাকা রিয়াল সোসিয়েদাদের পয়েন্ট সমান ম্যাচে স্রেফ ৩৯।
শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে তাই বলা যায় অনেকটাই এগিয়ে বার্সেলোনা। সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ খেলতে থাকার তৃপ্তিও আছে জাভির। তবে শিরোপা সম্ভাবনায় এখনই রোমাঞ্চে বুঁদ হতে চান না কোচ। এখনই কোনো কিছু নিশ্চিত নয়। মোটেও নয়। আমরা অবশ্যই সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। শীর্ষে থাকতে পারা এবং এতটা এগিয়ে থাকা অবশ্যই দারুণ। তবে এখনো অনেক পথ বাকি আছে। টানা বেশ কিছু ম্যাচ আমরা অপরাজেয় এবং আজকে রাতে ভালো খেলেছি। আমি খুশি ও সন্তুষ্ট। এখন আমরা ৮ পয়েন্টে এগিয়ে। আজকের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে আবারও বলছি, এখনো অনেক অনেক কিছু বাকি আছে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচ জিতল বার্সেলোনা, ২০১৯-২০ মৌসুমের পর তাদের সবচেয়ে দীর্ঘ জয়ের ধারা এটিই।
সেভিয়াকে এ দিন বলা যায় পাত্তাই দেয়নি বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে যদিও আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোল হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে সব পুষিয়ে দেয় তারা তিন গোল করে। মৌসুমের প্রথম গোলে জর্দি আলবা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গাভি। লা লিগায় চলতি মৌসুমে যেটি তার প্রথম গোল। পরে গোল করেন রাফিনিয়া। আমরা সেভিয়াকে গুছিয়ে উঠতে দেইনি। সবসময় গোলের পেছনে ছুটেছি। দলীয় প্রচেষ্টা আজকে সুস্পষ্ট ছিল, যেভাবে তারা খেলেছে, চাপ তৈরি করেছে, যে তাড়না দলের মধ্যে দেখা গেছে- অনেক সুযোগ তৈরি করেছি আমরা। দল যেভাবে খেলেছে, সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমাদের কাছাকাছি থাকা দল হোঁচট খেয়েছে, সেদিক থেকেও এটি বড় জয় আমাদের জন্য।
খেলার শুরুর দিকে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান অভিজ্ঞ সার্জিও বুসকেটস। তবে এই অভাব একদম টের পেতে দেননি বাকিরা। খানিক পর পর সেভিয়ার ডিফেন্স চিরে চলতে থাকে বার্সার দাপট। ১৬তম মিনিটে রবার্ট লেভানডোভস্কির শট ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। বিশ্বকাপ মাতানো মরক্কোর এই কিপার ১০ মিনিট পর আবার বাঁচান তার দলকে। এবারও হতাশ খেলোয়াড়ের নাম লেভানডোভস্কি। বিরতির পর রক্ষণে আরো জোর বাড়িয়েছিল সেভিয়া। লাভ হয়নি। ৫৮ মিনিটেই দেখা মিলে কাঙ্ক্ষিত গোলের। ডি-বক্সে বদলে নামা ফ্রাঙ্ক কেসিকে জটলার মধ্যে পাস দেন রাফিনহা। ব্রাজিলিয়ান তারকা বা দিকে থাকা আলবাকে টোকা মেরে দেন বল। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন আলবা। ৭০ মিনিটে গোল বানিয়ে দেন রাফিনহা। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার বল নিয়ে তীব্র গতিতে ছুটে বক্সে দেন দারুণ এক ক্রস।
"