ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চান জ্যোতিরা

সাউথ আফ্রিকার বিমান ধরার দিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের জয়ের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছিলেন জাহানারা আলম। বিশ্বকাপ শুরুর আগে এবার সামর্থ্য দেখানোর কথা বললেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। ২০১৪ সালের পর থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াইয়ের প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

২০১৪ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে খেলা সেই বিশ্বকাপে সেবার শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এরপর তিনটি বিশ্বকাপে পেরিয়ে গেলেও কোনো জয় পাওয়া হয়নি। বাছাই পর্বের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাউথ আফ্রিকায় নিজেদের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ শুরুর দিন কয়েক বাকি থাকলেও শনিবার কেপটাউনে হয়ে গেছে ‘ক্যাপ্টেনস ডে’। যেখানে জ্যোতির মতো উপস্থিত ছিলেন বাকি ৯ দলের অধিনায়ক। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে সেরাটা দিয়ে খেলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন জ্যোতি। সেইসঙ্গে বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়াকে আনন্দের বলছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি বলেন, ‘এখানে এসে আমরা খুব আনন্দিত, বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেকেই অনেক বছর ধরে খেলছি, তবে এটা আমাদের মাত্র পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালের পর আমরা কখনো জিততে পারিনি, কিন্তু এবার নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়ব।’ র‌্যাংকিংয়ে ওপরের দিকে না থাকায় কিংবা বিশ্বের পরাশক্তি হয়ে উঠতে না পারায় বড় দলের সঙ্গে সেভাবে খেলার সুযোগ পায় না বাংলাদেশ। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও সাউথ আফ্রিকার মতো দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন জ্যোতি-জাহানারারা। এদিকে মাসখানেক আগে নিউজিল্যান্ড সফর করেছে বাংলাদেশ।

সাফল্য না পেলেও কিউইদের মাটি থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান জ্যোতি। নিজেদের প্রতিভা দেখানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের খেলার সুযোগ খুব একটা হয় না। ফলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারি না। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমরা সেই সুযোগ পাই।’ এটা আমাদের জন্য সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য আর প্রতিভা দেখানোর।’ আমরা কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফর করেছি। যদিও সেখানে জিততে পারেনি, তবে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের দলটা গত দুই মাসে অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা এখন বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর অপেক্ষায় আছি।’ সবশেষ কয়েক বছরে পরাশক্তি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ছেলেরা। বিশেষ করে ওয়ানডে সংস্করণে বড় দলের বিপক্ষে নিয়মিতই জয় পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবালরা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে সবশেষ কয়েক বছরে ভালো করায় তাদের সমর্থন দিতে বিশ্বের প্রান্তে সমর্থকরা ছুটে যান। ছেলেদের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও এমন সমর্থন চান জ্যোতি। বাংলাদেশকে গর্বিত করতে চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অনুরোধ করব, যেভাবে ছেলেদের দলটাকে আপনারা সমর্থন করেন, আমাদেরও সেভাবে করুন। আমরা আমাদের দেশকে গর্বিত করতে চাই।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close