ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

কুমিল্লার টানা ৭ জয়ের নায়ক রিজওয়ান

ম্যাচ জিততে শেষ ৬ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ৫৪ রান। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে নিহাদ উজ জামানের করা ১৫ ওভারে দুই ছয় ও দুই চারে ২০ রান নিয়ে ম্যাচ কুমিল্লার নিয়ন্ত্রণে এনে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। হাফ সেঞ্চুরির পর পাকিস্তানের এই ব্যাটার ফিরলেও শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটিং দৃঢ়তায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা।

মিরপুরে জয়ের জন্য ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারি থেকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন সৈকত আলী। মৃত্যুঞ্জয়ের পরের ওভারে মেরেছিলেন আরো একটি ছক্কা ও চার। তবে সৈকতকে ইনিংস বড় করতে দেননি মৃত্যুঞ্জয়।

বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সৈকত। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক না হওয়ায় ডারউইস রাসুলির হাতে ধরা পড়েন ১৫ রান করা এই ব্যাটার। সৈকতের মতো ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন ইমরুল কায়েস। এক ছক্কা ও এক চারে ১৫ রান করা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন জিয়াউর রহমানের বলে। ডানহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক। চারে নেমে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী করেছেন জনসন চার্লস। ৯ রান করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে এই ব্যাটারকেও আউট করেছেন জিয়াউর। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মোসাদ্দেক ও রিজওয়ান। মাত্র ৩২ বলে ৫০ রানের জুটি পূর্ণ করেন তারা দুজন। শুরুর দিকে খানিকটা ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও পরবর্তী সময়ে দ্রুত রান তুলে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান। হাফ সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটারকে ৬১ রানে আউট করেন মৃত্যুঞ্জয়। বাঁহাতি এই পেসারের বলে উসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। রিজওয়ানের বিদায়ে ভাঙে মোসাদ্দেকের সঙ্গে তার ৭৬ রানের জুটি। শেষ দিকে জাকের আলীকে সঙ্গে দিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানের ইনিংস খেলে। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তানভীর ইসলামের আর্ম বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন মেহেদি মারুফ। রিভিউ নিলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি ডানহাতি এই ওপেনারের। তিনে নামা খাওয়াজা নাফের সঙ্গে উসমানের জুটি বড় করতে দেননি তানভীরই। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন নাফে। টপ এজ হওয়ায় মিড অনে সৈকতের হাতে ধরা পড়তে হয় পাকিস্তানের তরুণ এই ব্যাটারকে। নাফে ২ রান করে ফিরলে মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। এমন অবস্থা থেকে চট্টগ্রামকে টেনে তোলেন আফিফ ও উসমান। তাদের দুজনের কল্যাণে পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান তোলে দলটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন উসমান ও আফিফ।

দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন উসমান। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ওপেনার। সৈকতের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিড অফে থাকা জনসন চার্লসের হাতে ক্যাচ দেন ৫২ রান করা উসমান। এদিকে আবরার আহমেদের বলে এক রান নিয়ে ৪০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আফিফ। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি শুভাগত হোম ও কার্টিস ক্যাম্ফাররা। তারা দুজন দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর দারুণ ব্যাটিং করা আফিফকে সাজঘরে ফিরতে হয় ইনিংসের শেষ ওভারে। হাসান আলীর লেগ স্টাম্পের ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে না হওয়ায় লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে চট্টগ্রাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

১৫৬/৭ (২০ ওভার)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

১৬০/৪ (১৯ ওভার

ফলাফল : কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close