ক্রীড়া প্রতিবেদক
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ নারী
শিরোপায় চোখ রেখে ছক কষছে বাংলাদেশ
বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় মেয়েরা প্রায়ই পায় সাফল্যের দেখা। মূল সাফে সাবিনা-কৃষ্ণাদের অর্জন তাদের চাপ বাড়িয়েছে আরো। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও তা অনুভব করতে পারছেন ভালোভাবেই। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে রেখে বাংলাদেশ কোচ জানালেন, তার শিষ্যরাও বুঝতে পারছেন ফুটবলপ্রেমীদের দাবি-দাওয়া।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আগামী শুক্রবার শুরু হবে এ প্রতিযোগিতা। চার দলের রাউন্ড রবিন লিগ শেষে শীর্ষ পয়েন্টধারী দুই দল নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল। গতবার এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সিদের নিয়ে। সেবার ভারতের সমান পয়েন্ট হলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শিরোপা চাই স্বাগতিকদের। লক্ষ্যপূরণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রবিবার ২৩ জনের দল দিয়েছেন কোচ ছোটন। একেবারে নতুন মুখ আইরিন খাতুন ও আফরোজা আক্তার। এই দুই ফরোয়ার্ড গত লিগে খেলেছেন যথাক্রমে নাসরিন অ্যাকাডেমি ও জামালপুর কাচারিপাড়া একাদশের হয়ে।
আক্রমণভাগে অবশ্য মূল চাওয়া থাকবে আকলিমা খাতুনের ওপর। এআরবি স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে গত লিগে রীতিমতো চমক দেখিয়েছেন তিনি। দেশের ফুটবলের সেরা তারকা সাবিনা খাতুনকে (১৯টি) বেশ পেছনে ফেলে জিতে নেন সর্বোচ্চ গোলদাতার (২৫টি) পুরস্কার। ছোটন অবশ্য দলে স্কোরারের কমতি দেখছেন না।
আকলিমা এরই মধ্যে লিগে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ২৫ গোল করেছে। সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল। গত বছর জামশেদপুরে আমরা যে টুর্নামেন্ট খেলেছি, সেখানেও কিন্তু ভারত ও নেপালের বিপক্ষে তার গোল আছে। তখন কিন্তু একেবারেই তরুণ ছিল সে। তারপরও প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে গোল করেছিল। আমি মনে করি, লিগে ২৫ গোল করায় এই টুর্নামেন্টের জন্য তার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। প্রীতিও সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর লিগে ভালো পারফর্ম করেছে। রিপা, মাহফুজারও গোল আছে, অধিকাংশ খেলোয়াড়ের কিন্তু গোল আছে। স্কোরিং সামর্থ্য আছে। গোল করার সামর্থ্য জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেও দেখিয়েছে আকলিমা-আফরোজারা। এক মাসের প্রস্তুতিতে বাইরের দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগ মেলেনি তাদের, কিন্তু জাতীয় দলের বিপক্ষে খেলা ?দুই ম্যাচে জয় ২-১ ও ৩-০ গোলের।
মূল সাফে খেলা ছয়জন আছে বয়সভিত্তিক এই দলটিতে। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার পাল্লায় বর্তমান দলটিকে ‘ভারী’ মনে হচ্ছে ছোটনেরও। মূল সাফের প্রাপ্তির ভার মেয়েরা বয়ে নিতে পারবে বলে বিশ্বাস কোচের। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫-তে যে দলটি খেলেছিল, তারা ছিল পুরোপুরি নতুন। কিন্তু এই দলটায় অনেকে আছে, যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। বেশির ভাগের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টেও আমাদের মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলবে। সাফের শিরোপা জয়ের পর এই মেয়েরাও জানে দেশবাসীর প্রত্যাশা বেড়েছে। মাঠে তারা কঠোর অনুশীলন করেছে। সবদিক থেকে ভালো করতে তারা মোটিভেটেড এবং মাঠে, জিমে এবং রিকভারিতে তারা কঠোর পরিশ্রম করেছে, মনোযোগী ছিল।
"