ক্রীড়া ডেস্ক

  ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩

‘সংগ্রাম করে জেতা পছন্দ নয় রিয়ালের’

খেলার শুরু থেকে বিবর্ণ ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। শুরুতে পিছিয়ে গিয়ে শঙ্কা জাগছিল হারেরও। কিন্তু বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক গোল করলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো। অতিরিক্ত সময়ে লাল কার্ড দেখে ১০ জনের অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে পরে আর সুযোগ দেয়নি রিয়াল। করিম বেনজামা আর ভিনিসিউস জুনিয়রের দুই গোলে কোপা দেল রের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। কোচ কার্লো আনচেলেত্তির মতে, এরকম গোল বুঝিয়ে দেয় কতটা উঁচু মানের এই ফরোয়ার্ড। বৃহস্পতিবার রাতে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে ৩-১ গোলে হারায় রিয়াল। তবে রদ্রিগো ঝলক না হলে ম্যাচটি তারা হারতে পারত ১-০ গোলেও। নির্ধারিত সময়ে সমতায় ফেরার পরই যে অতিরিক্ত সময়ে বাকি দুই গোল করে উল্লাসে মাততে পারে তারা।

ম্যাচে করিম বেনজেমা ও ভিনিসিউস জুনিয়র গোল করে অতিরিক্ত সময়ে। তবে রদ্রিগোর ম্যাচে ফেরানো চোখ ধাঁধানো গোল নিয়েই হচ্ছে বেশি আলোচনা। লুকা মদ্রিচের পাস ধরে পায়ের কারিকুরিতে প্রথমে দুজনকে কাটিয়ে এগিয়ে যান। পরে প্রতিপক্ষের আরো দুই ডিফেন্ডারের বাধা পার করে দারুণ প্লেসিং শটে বল জালে জড়িয়ে দেন এই তরুণ।

ম্যাচশেষে কোচ আনচেলেত্তি রদ্রিগোর ব্যাপারে জানান মুগ্ধতার কথা, ‘ওর গোলটা ছিল দুর্দান্ত। এরকম গোল ওর মানটা দেখিয়ে দেয়। কঠিন ব্যাপারগুলো ও এমনভাবে সেরে নেয়, মনে হয় খুব সহজ কাজ। আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় সে।’ বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দলকে খেলায় ফিরিয়ে পুরোটা সময় মাঠে থাকা হয়নি রদ্রিগোর। আনচেলেত্তি জানান গোড়ালির চোট থাকায় তাকে পরে তুলে নেন তিনি।

এদিকে দলের এমন জয়ের পর অন্যতম সেরা তারকা করিম বেনজেমা জানান, এ রকম সংগ্রাম করে জেতাটা পছন্দ নয় তাদের, ‘এটা খুব কঠিন ও জটিল খেলা ছিল। কিন্তু আমাদের দলে যেসব খেলোয়াড় আছে তাতে আমরা জানতাম ফিরতে পারব। হয়তোবা আমাদের শুরুতে গোল করা দরকার ছিল। কারণ আমরা ভুগতে পছন্দ করি না। অ্যাথলেটিকো পজিশন ধরে খেলছিল। রদ্রিগোর দুর্দান্ত গোলে আমাদের ফিরে আসা ছিল দারুণ।’ ১৯ মিনিটে অ্যাথলেটিকোকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আলভারো মোরাতা। ৭৯ মিনিটে রদ্রিগো সমতা ফেরানোর পর অতিরিক্ত সময়ের ১০৪ ও ১২০ মিনিটে বাকি দুই গোল করেন বেনজেমা আর ভিনিসিউস।

বল দখলের লড়াইতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার আগেই হকচকিয়ে যায় কার্লো আনচেলেত্তির দল। ১৯ মিনিটে গোলমুখে প্রথম শট নিয়েই সাফল্য পায় অ্যাথলেটিকো। বক্সের সামনে থেকে বা প্রান্তে উঁচু করে বল বাড়ান কোকে। রিয়ালের রক্ষণকে ধোঁকা দিয়ে বক্সে ঢুকে যান আর্জেন্টাইন তারকা নাওহুয়েল মলিনা। তার ক্রস ধরে ফাঁকায় থাকা মোরাতা বল জড়িয়ে দেন জালে। হতাশার প্রথমার্ধে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি রিয়াল।

বিরতির পর নেমে খেলায় ফেরানোর পরিস্থিতি পেয়েছিলেন বেনজেমা। বক্সের মুখে কাটব্যাক পেয়ে বল ধরতেই পারেননি তিনি। ৫২ মিনিটে টনি ক্রসের ক্রস থেকে ব্যাকহিলে পা লাগালে আসতে পারত গোল। ভিনিসিউস আর বেনজেমা দুজনেই তা হাতছাড়া করেন। ৫৭ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে বেনজেমার নেয়া শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বল এসেছিল ভিনিসিউসের পায়ে। কিন্তু দ্রুত শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। রিয়ালের টানা আক্রমণের তোড় সামলে ৭৩ মিনিটে গোল বাড়ানোর সুযোগ পায় অ্যাথলেটিকোও।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close