ক্রীড়া ডেস্ক

  ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২

বাংলাদেশকে সেমিতে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন কার্তিক

ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ বরাবরই বাকি দুই ফরম্যাটের চেয়ে ভালো ফল করে থাকে। চলতি বছর টাইগারদের সাফল্যের পাল্লা আরো ভারী। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জেতার পর এবার ঘরের মাঠে ভারতকে সিরিজ হারিয়েছে তারা। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা দেখছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক। নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জন্য সমীহ জাগানো একটি দল। আর ফরম্যাটটা যদি হয় ওয়ানডে, তাহলে তো পোয়াবারো! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে বেশি অর্জন টাইগারদের। সেই তালিকা আরো লম্বা হয়েছে ভারতকে সিরিজ হারিয়ে।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রতিবেশীদের ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে লিটন দাসের দল। এই নিয়ে ভারতের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে সর্বশেষ সিরিজটিও জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রান তোলে স্বাগতিকরা। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৬ রান করতে পারে ভারত। ১০টি দল নিয়ে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ আয়োজিত হবে ভারতে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মিল রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে প্রত্যাশার পাল্লা উঁচুতে রাখার যথেষ্ট কারণ রয়েছে তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমদের।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের আরেকটি নাটকীয় জয়ের পর ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন কার্তিক। সেখানে তিনি প্রশংসায় মাতেন টাইগারদের পারফরম্যান্সের। পাশাপাশি দেশের বাইরে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আরো বড় পরীক্ষায় তাদের উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ দেখছেন, সময় হয়তো সব উত্তর দেবে। কিন্তু কন্ডিশন অনুযায়ী তাদের ব্যাটিংয়ে ইন্টেন্ট ছিল। বোলিংটা খুব ধারাল হয়েছে। তারা যখন বাইরে প্রতিপক্ষের সমর্থকদের সামনে খেলবে, তখন আরো বড় পরীক্ষা হবে। এসব উত্তর তখনই জানা যাবে। সাম্প্রতিক ফল অনুসারে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে না ওঠা হতাশাজনক হবে বলে মনে করছেন কার্তিক। তবে আমি এতটুকু বলতে পারি, যেহেতু এশিয়ার দল হিসেবে এশিয়ার মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে, সেই জায়গায় তাদের সেমিফাইনালে খেলতে না পারা হবে হতাশার। বিশেষ করে, এই ফরম্যাটে তারা সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে খেলছে, আগামী বিশ্বকাপে তাদের খুবই ভালো করার কথা।

একই অনুষ্ঠানে ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক জয় ভট্টাচার্যের কণ্ঠে শোনা গেছে প্রায় অভিন্ন সুর। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা দেখছেন তিনিও, তাদের সোনালি প্রজন্মের শেষ সুযোগ হবে ২০২৩ সালে। সাকিব, তামিম, মুশফিকুরদের ২০২৩ সালের পর হয়তো আমরা দেখব না। সেই জায়গায় তাদের বড় সুযোগ। পরের প্রজন্মের যারা, তাদের মধ্যে তাসকিন (আহমেদ), মেহেদী, লিটন খুব ভালো করছে। সব মিলিয়ে আগামী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলটির বড় সুযোগ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close