ক্রীড়া ডেস্ক
জিতল না কেবল পিএসজি
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের তৃতীয় রাউন্ডের দ্বিতীয় রাতে ফেভারিটদের জয়জয়কার। কিন্তু ‘বড়’দের জয়ের রাতে হোঁচট খেয়েছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এগিয়ে থেকেও বেনফিকার মাঠ থেকে ড্রয়ের হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরেছেন মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেরা। দুই জায়ান্টের ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে।
পরশু পিএসজির হতাশার রাতে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়াল মাদ্রিদ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও জুভেন্টাস। আর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে বিগ ম্যাচে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানকে ৩-০ বিধ্বস্ত করেছে ধুঁকতে থাকা চেলসি। সেভিয়াকে তাদেরই মাঠে ৪-১ গোলে বিপর্যস্ত করেছে ডর্টমুন্ড।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শাখতার দানেৎস্ককে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৮ মিনিটের মধ্যে দুই ব্রাজিলিয়ান রদ্রিগো ও ভিনিচিয়াস জুনিয়র গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ৩৯ মিনিটে শাখতাদের হয়ে সান্ত¡নার গোলটি করেছেন জুবকভ। লিগে এটা টানা তৃতীয় জয় রিয়ালের।
শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটিও। গতকাল রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এফসি কোপেনহেগেনকে ৫-০ গোলে চূর্ণ করেছে পেপ গার্দিওলার দল। সিটির প্রথম দুটি গোল করেন আর্লিং হালান্ড। তৃতীয় গোলটি এসেছে উপহারসূচক আত্মঘাতী থেকে। দ্বিতীয়ার্ধে স্কোরার শিটে নাম তোলেন রিয়াদ মাহরেজ ও হুলিয়ান আলভারেজ।
বেনফিকার মাঠে ম্যাচের ২২ মিনিটে পিএসজিকে উচ্ছ্বাসে ভাসান লিওনেল মেসি। কিন্তু তাদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে বিরতির কয়েক মিনিট আগে। বেনফিকার আক্রমণের তোপে আত্মঘাতী গোল করে বসেন ড্যানিলো। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান গড়ার সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। তবে বেনফিকা গোলরক্ষক পিএসজির আক্রমাণভাগের যেভাবে অগ্নিপরীক্ষা নিয়েছে সেটার বিশেষণ হতে পারে এক কথায় অসাধারণ।
ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসিরা হারিয়েছে ইউরোপের পরাশক্তি ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানকে। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। চেলসির খেলোয়াড়দের আক্রমণ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছিল মিলানের খেলোয়াড়রা। ফলে শুরুর ১৪ মিনিটেই হলুদ কার্ড খেয়ে বসেন তুরে এবং ক্রুনিচ।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে ফোফানার গোলে এগিয়ে যায় চেলসি, যা চেলসির হয়ে এই ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। প্রথম হাফে আর গোল হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু আক্রমণ করে দুই দলই। দ্বিতীয় হাফেও আক্রমণে এগিয়ে ছিল চেলসি। তবে কিছুটা গুছিয়ে উঠেছিল ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।
কিন্তু ৫৬ থেকে ৬১ এই ছয় মিনিটে রিসে জেমস এবং আউবামেয়াংয়ের গোলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মিলান। এরপর ৯ মিনিটে পাঁচ পরিবর্তন করেও কোনো ফল পায়নি এসি মিলান। ফলে তিন গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চেলসি। এই জয়ে ‘ই’ গ্রুপে মিলানকে টপকে টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো চেলসি। আর ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে স্যালজবার্গ।
এদিকে সিটির নরওয়েজিয়ান গোলমেশিন হালান্ডের জাদু চলছেই। ডেনমার্কের ক্লাব কোপেনহেভেনের বিপক্ষে প্রথম হাফেই জোড়া গোল করেন এই স্ট্রাইকার। প্রথম হাফে খোছোলাভার আত্মঘাতী গোলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সিটিজেনরা।
বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য আর গোল করতে পারেননি হালান্ড। ৫৫ মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন রিয়াদ মাহরেজ। আর ৭৬ মিনিটে পঞ্চম গোলটি করেন ইউলিয়ান আলভারেজ।
এদিকে ‘জি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেভিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটির হয়ে গোল করেছেন রাফায়েল গুয়েরেইরো, জুড বেলিংহাম, করিম আদয়েমি এবং জুলিয়ান ব্র্যান্ডট। সিটির এই জয়ের ফলে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রইল পেপ গার্দিওয়ালার দল। আর তিন পয়েন্ট কম নিয়ে টেবিলে দুইয়ে ডর্টমুন্ড।
"