ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৫ অক্টোবর, ২০২২

তরুণদের নিয়ে আশাবাদী সিডন্স

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে ৩০ সেপ্টেম্বরই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে গত তিন দিন অনুশীলনের বাইরেই ছিল টাইগাররা। অবশেষে গতকাল (৪ অক্টোবর) ক্রাইস্টচার্চে অনুশীলন করেছেন সোহান-মিরাজরা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপের আগে তাসমান সাগরের পাড়ে দেশটির প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিতে চান তারা।

আগামী ৭ অক্টোবর মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেদিনই নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর ৯ তারিখ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে টাইগাররা। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ১২ তারিখ আবারও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ দল। সবশেষ গ্রুপপর্বের সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের আগে দলের কম্বিনেশন ঠিক করা বা টিমকে প্রস্তুত করার এটাই শেষ সুযোগ বাংলাদেশের। তাই সিরিজে টাইগাররা চালাতে পারে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই সিরিজেও ওপেনিংয়ের ভারটা মেইকশিফট ওপেনার দিয়েও চালানোর পক্ষপাতী ম্যানেজমেন্ট। কম্বিনেশনে আরো কয়েকটি জায়গায় এখনো দেখতে চায় টাইগাররা।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এই সিরিজ বাংলাদেশের জন্য তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনুশীলনে নিজেদের সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে চায় টাইগাররা। সে লক্ষ্যেই গতকাল প্রথমবারের মতো অনুশীলন করে বাংলাদেশ। আগেই জানানো হয়েছিল, প্রথম দিনের অনুশীলন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রথম দিনেই টাইগাররা নেমে পড়েন নেট প্র্যাকটিসে। তবে নিয়মিত অধিনায়ক এখনো ক্রাইস্টচার্চে দলের সঙ্গে যোগ দেননি। গতকালই দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে বুধবার তার অনুশীলন শুরু করার কথা।

প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমকে দলের অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফ করেন দলের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। এই অস্ট্রেলিয়ান জানান, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনের মিল থাকায় এই সিরিজ বাংলাদেশকে বিশ্বকাপের সময় কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ সহায়তা করবে।

সিডন্স বলেন, ‘আমরা দুবাই থেকে মাত্রই এসেছি। সেখানে আমিরাতের বিপক্ষে আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি। সেখানে দারুণ একটা প্রস্তুতি হয়েছে। আমরা এখানে বেশ তরুণ দল নিয়ে এসেছি। কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় অবসর নিয়ে নিয়েছে অথবা এই ট্যুরের দলে নেই। আমাদের তরুণ দলটা রোমাঞ্চকরও। এখানে আজ অনেক কিছুই শিখেছে। দেখা যাক শক্তিশালী দল দুটোর (পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড) বিপক্ষে কেমন করে।’

আমিরাত বা উপমহাদেশের চেয়ে কন্ডিশনের তুলনায় নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন সম্পূর্ণ ভিন্ন। নতুন কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ তাই বাংলাদেশের সামনে। তবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনের মিল থাকায় এটা বাংলাদেশের কাজে দেবে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সিডন্স।

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখানে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে এসেছি। এখানে সুন্দর ঠান্ডা আবহাওয়া এখন, ঠিক আমাদের গ্রুপে থাকা অস্ট্রেলিয়ার মতোই। ওই কন্ডিশনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দেখুন উইকেটের দিকে, সত্যিই সুন্দর। হ্যাগলি ওভাল অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার মতোই। মৌসুমের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই এমন।’

নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের ছাড়া এলো বাংলাদেশ। দলে নেই মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। অতীতের সঙ্গে বর্তমানের পার্থক্যও জানালেন সিডন্স।

তিনি বলেন, ‘তারা সত্যিই চমৎকার। সাব্বির-মিরাজ যেভাবে ওপেনিং করে, সেটা তামিমণ্ডলিটনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের। লিটন এখনো আছে, তিন কিংবা চার নম্বরে খেলবে। দলে সিনিয়র কম থাকলেও তরুণরা অত্যন্ত প্রাণবন্ত। এখন দেখা যাক কী হয়।’

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মতো দল পেয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের ব্যাটিং পরামর্শক। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষ নিয়ে খুশি। এক দল গত আসরের ফাইনালিস্ট। পাকিস্তান তো টি-টোয়েন্টিতে চমৎকার ফর্মে আছে। দারুণ শক্তিশালী তারা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close