ক্রীড়া ডেস্ক

  ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ফর্মহীনতায় ভুগছেন ইউরোপীয় জায়ান্টরা

কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আর মাত্র ৫০ দিন। কিন্তু তার আগে এই মুহূর্তে ফর্ম নিয়ে ধুঁকছে ইউরোপের ফুটবল পাওয়ার হাউসগুলো। সর্বশেষ ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করেছিল ব্রাজিল। এটি ছিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল পরাশক্তির পঞ্চম শিরোপা। এরপর বিশ্বকাপের আর কোনো শিরোপা ইউরোপের বাইরে যায়নি।

সর্বশেষ চারটি বিশ্বকাপ আসরের ১৬ সেমিফাইনালিস্টদের ১৩টি দলই ছিল ইউরোপের। সেখান থেকে একে একে শিরোপা নিশ্চিত করে যথাক্রমে ইতালি, স্পেন, জার্মানি ও ফ্রান্স। তবে এবারের কাতার আসরে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ইতালি। আর ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও স্পেনের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।

শীর্ষ টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে টানা ছয় ম্যাচে জয়হীন রয়েছে ইংল্যান্ড। যার ফলে নেশন্স লিগের শীর্ষ পর্ব থেকে অবনমিত হয়ে গেছে থ্রি লায়ন্সদের। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স কোনো রকম একই অবস্থা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে নিয়েছে। তবে নেশন্স লিগে ছয় গ্রুপ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয়লাভ করেছে লেস ব্লুসরা। স্পেন ওই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও গত সপ্তাহে নিজেদের মাঠেই সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরেছে ২-১ গোলে।

প্রথমবারের মতো মৌসুমের মাঝপথে ইউরোপীয় দলগুলো বিশ্বকাপ বিরতিতে যাওয়ার কারণে তাদের টুর্নামেন্ট পূর্ব অনুশীলন ক্যাম্প ও প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকছে কম। বর্তমান বিরতির পর বিশ্বকাপের জন্য ইউরোপীয় ক্লাবগুলো ফের বিরতিতে যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর। এর এক সপ্তাহ পর মাঠে গড়াবে বিশ্বকাপ। এর আগে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের খেলোয়াড়দের অন্তত ১৩টি করে ক্লাব ম্যাচ খেলতে হবে।

ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ বেল বলেছেন, ‘সবাইকে একই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত সময়, কারণ অনেক দল নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার মতো সময় হাতে পাবে না। যে কারণে খুব কম দলই তাদের ফর্ম খুঁজে পাবে।’

ইনজুরি, ক্লান্তি এবং নেশন্স লিগে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ধরন ঐতিহ্যবাহী দলগুলোর সংগ্রামের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নেশন্স লিগের একই গ্রুপে পড়েছে ইংল্যান্ড, জার্মানি ও ইতালি। সেই সঙ্গে স্পেন ও পর্তুগালও।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close