ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
দুর্দান্ত মেসি-নেইমার নিষ্প্রাণ রোনালদো
বর্তমান সময়ে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকা করলে ব্রাজিলের নেইমার, আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি এবং পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো শীর্ষে থাকবেন এতে সন্দেহ নেই। যদিও এই তিন খেলোয়াড়ই গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের মঞ্চে শেষবারের মতো খেলতে নামবেন। কাতার বিশ্বকাপ শুরু হতে যদিও বাকি রয়েছে আরও ৫২ দিন।
ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার ইচ্ছা করলে ২০২৬ বিশ্বকাপের আসরে খেলতে পারবেন। কিন্তু বিশ্বকাপের আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরে যাবেন কাতারে খেলে। অন্যদিকে বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এখনও নিজেদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করেননি। যদিও ফুটবল বোদ্ধাদের মতে এই দুজনেরই এবারের আসর শেষ। কেননা আগামী বিশ্বকাপের সময় মেসির বয়স হবে ৩৯ বছর আর রোনালদো বয়স হবে ৪১ বছর। সে হিসেবে তারা তখন কতটুকুু খেলতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
বিশ্বকাপের আগে সামনে আর তেমন ম্যাচ পাবে না দলগুলো। তাই সকলেই ব্যস্ত ছিল নিজেদের ঝালিয়ে নিতে। প্রায় দেশগুলো প্রীতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে। এ সময়ে ল্যাটিন আমেরিকার দুইদেশ আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে আর ইউরোপে চলছে নেশন্স লিগ।
মাঠে নামা প্রায় দেশগুলো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত জার্সি পরেই মাঠ মাতিয়েছে। তবে সবার দৃষ্টি ছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ম্যাচের দিকে। তারা কেমন করে। এ দুদল রীতিমত উড়েছে। এ দুদলের পারফরম্যান্স দেখে ফুটবল বোদ্ধারা ভবিষ্যতদ্বানী করেছেন ল্যাটিনের দেশ দুটির শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। এই দল দুটি তাদের ম্যাচগুলো জিতেছে দাপটের সঙ্গে। দল দুটির সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।
মেসি ও নেইমার প্রীতি ম্যাচগুলোতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখলেও নেশন্স লিগের একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে পর্তুগাল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রীতি ম্যাচের মতো ক্লাব ফুটবলেও চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে রয়েছেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। ক্লাব পিএসজির হয়ে এ দুজনের জুটি ত্রাস ছড়াচ্ছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। অন্যদিকে নেশন্স লিগের মতোই ক্লাব ফুটবলেও নিষ্প্রভ রোনালদো। এমনকি বদলি হিসেবেও নামতে হচ্ছে কখনো কখনো। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপে কেমন করতে পারবেন তিনি তা নিয়ে কিছুটা সংশয় তো আছেই।
মেসি-নেইমারদের পারফরম্যান্স বিশ্বকাপের দলগুলোর জন্য কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। ইতোমধ্যে তাদের গ্রুপ পর্বে দলগুলোও হয়ত তাদের আটকাতে ছক কাটতে বসে গেছে। অন্যদিকে রোনালদোর এমন নিষ্প্রভতায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে বিশ্বকাপের প্রতিপক্ষরা। তবে সিআরসেভেনের সামর্থ্য নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। তিনি যে কোনও সময় ধসিয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের রক্ষণকে।
"