ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএলের মালিকানা পাচ্ছেন যারা
আগামী তিন মৌসুমে সাতটি দলের সম্ভাব্য মালিকানাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিল। বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, সিলেট, রংপুর, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার দলের মালিকানা চূড়ান্ত করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
২০২৩-২৫ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পাচ্ছে যারা ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস লিমিটেড (বরিশাল), মাইন্ডট্রি লিমিটেড (খুলনা), প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড (ঢাকা), ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (সিলেট), টগি স্পোর্টস লিমিটেড, বসুন্ধরা গ্রুপ (রংপুর), ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড (চট্টগ্রাম), কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড (কুমিল্লা)
গতবারের মতো এবারও থাকছে ফরচুন গ্রুপ (বরিশাল), ডেল্টা স্পোর্টস (চট্টগ্রাম), কুমিল্লা লিজেন্ডস (কুমিল্লা), মাইন্ডট্রি (খুলনা) ও প্রগতি গ্রিন (ঢাকা)। এদের মধ্যে প্রগতি গ্রিন গতবার ছিল সিলেট দলের মালিকানায়, এবার সেটি যাচ্ছে ফিউচার স্পোর্টসের কাছে। আর গত মৌসুমে শেষ মুহূর্তে গিয়ে বদল এসেছিল ঢাকার দলের মালিকানায়, শেষ পর্যন্ত সেটি নিজেদের কাছে রেখেছিল বিসিবি। রংপুরের মালিকানা দেওয়া হচ্ছে টগি স্পোর্টসকে।
দেওয়া হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাও। ২০১৯ সালে তখনকার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চার বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটি আর নবায়ন করেনি বিসিবি। আইপিএলের মতো লভ্যাংশ ভাগাভাগির মডেলে যেতে চেয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, বিসিবি তাতে রাজি ছিল না। এর পর থেকেই বিপিএল চলেছে কিছুটা জোড়াতালি দিয়েই।
২০১৯-২০ মৌসুমে সাতটি দলের মালিকানা দেওয়া হয়েছিল সাতটি প্রতিষ্ঠানকে। এরপর করোনাভাইরাসের কারণে বিপিএলের বদলে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যেটি ছিল পাঁচ দলের। সর্বশেষ গত আসরে বিপিএল হয়েছিল ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিপিএলে এক বছরের জন্যই দলগুলোর মালিকানা বিক্রি করেছিল বিসিবি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের নবম আসর, শেষ হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি। পরের বছর ৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে বিপিএলের দশম আসর চলবে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০২৫ সালের বিপিএল হবে ১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
"